আফগানিস্থানের রাজধানী কাবুলে একটি ক্রিকেট খেলার সময় হ্যান্ড গ্রেনেড বিস্ফোরণের পরদিন গত শনিবার হতাহতের সংখ্যা বাড়িয়ে তালিবান জানায়, ওই বিস্ফোরণে স্টেডিয়ামের দুই বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে।
এখন পর্যন্ত কেউ এই বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করেনি। তবে গত বছর যুক্তরাষ্ট্র ও নেটো বাহিনী ২০ বছরের যুদ্ধের পর আফগানিস্তান থেকে বেরিয়ে আসার পর থেকে এ হামলার দায় তালিবানের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামিক স্টেট গ্রুপের জঙ্গিদের ঘাড়েই চাপানোর সম্ভাবনা রয়েছে।
এর আগে, কাবুলের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুক্রবার দুপুরের বিস্ফোরণে ১৩ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। কয়েকশত লোক ম্যাচটি দেখার জন্য সেখানে জড়ো হয়েছিল।
ওই সময় কাবুলের ইতালীয় পরিচালিত জরুরি হাসপাতাল টুইটারে নিশ্চিত করে বলে, আহতদের মধ্যে ১২ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং অন্য এক রোগীকে চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
শনিবার তালিবান নিযুক্ত কাবুল পুলিশের মুখপাত্র খালিদ জাদরান জানান, দু'জনের মৃত্যু হয়েছে। সেই মুহুর্তে জানা সম্ভব হয়নি যে, এই দুজন তাৎক্ষণিকভাবে নাকি পরে হাসপাতালে মারা গেছেন।
ক্রিকেট দল ব্যান্ড-ই-আমির ড্রাগনস এবং পামির জালমির মধ্যে খেলাটি বিস্ফোরণের কারণে সংক্ষিপ্তভাবে স্থগিত করা হয়েছিল তবে পরে তা আবার শুরু হয়। ম্যাচটি প্রতি বছর অনুষ্ঠিত ঘরোয়া টি-২০ শাপাগেজা ক্রিকেট লীগের খেলার অংশ ছিল। আফগানিস্তানে ক্রিকেট খুবই জনপ্রিয় একটি খেলা।
গত আগস্টে তালেবানের ক্ষমতা দখলের পর থেকে, ইসলামিক স্টেট খোরাসান প্রদেশ নামে পরিচিত -ইসলামিক স্টেট (আইএস) এর আঞ্চলিক শাখা - - কাবুল এবং দেশের অন্যান্য অংশে হামলার দাবি করেছে।
২০১৪ সাল থেকে আফগানিস্তানে কাজ করে আসা আইএস-এর এই শাখাটিকে দেশটির নতুন শাসকদের নিরাপত্তার জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
শুক্রবারের হামলার ব্যাপক নিন্দা করা হয়। আফগানিস্তানে জাতিসংঘ মিশনের ডেপুটি রামিজ আলাকবারভ এই হামলার সময় স্টেডিয়ামে ছিলেন। আফগান ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনে ভাষণ দেওয়ার কথা ছিল তাঁর।