অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ইরানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিষেধাজ্ঞা জারি; চীন ও ইউএই-র কোম্পানী নিষেধাজ্ঞায়


ওয়াশিংটনে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট ভবনের একটি ছবি। ৬ জুন ২০১৯। (ফাইল ফটো)
ওয়াশিংটনে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট ভবনের একটি ছবি। ৬ জুন ২০১৯। (ফাইল ফটো)

যুক্তরাষ্ট্র সোমবার চীন ও অন্যান্য দেশের কোম্পানীর উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। যুক্তরাষ্ট্র বলে যে, ইরানের বৃহত্তম পেট্রোকেমিক্যাল ব্রোকারগুলোর একটি ইরানে উৎপাদিত কোটি কোটি ডলারের তেল পূর্ব এশিয়ায় বিক্রি করতে ঐ কোম্পানীগুলোকে ব্যবহার করেছে। ঐ অঞ্চলে ইরানের তেল বিক্রিতে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র।

যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট এক বিবৃতিতে ঐ কোম্পানীগুলোর বিরুদ্ধে অভিযোগ করে যে, সেগুলোকে ইরানের পার্সিয়ান গালফ পেট্রোকেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রি কমার্শিয়াল কোম্পানীটি, ইরানের পেট্রোলিয়াম ও পেট্রোকেমিক্যাল পণ্য ইরান থেকে পূর্ব এশিয়ায় বিক্রি করতে ব্যবহার করেছে।

হংকং এর চারটি, সংযুক্ত আরব আমিরাতের একটি, এবং সিঙ্গাপুরের একটি কোম্পানীর উপর সোমবার নিষেধাজ্ঞা জারি করে যুক্তরাষ্ট্র। ট্রেজারির ওয়েবসাইটে এমন তথ্য জানানো হয়। তেল ও পেট্রোকেমিক্যাল থেকে ইরানের আয় ব্যাপকভাবে হ্রাস করার পরিকল্পনায়, যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত নিষেধাজ্ঞাগুলো কার্যকর করতে তাদের বর্ধিত চেষ্টায় সর্বসাম্প্রতিক পদক্ষেপ ছিল এটি।

এমন পদক্ষেপের ফলে ঐ কোম্পানীগুলোর যুক্তরাষ্ট্রে থাকা যে কোন সম্পদ জব্দ হয়ে যাবে এবং সাধারণভাবে আমেরিকানদের সেসব কোম্পানীর সাথে ব্যবসা করা নিষিদ্ধ করবে।

২০২১ সালে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ইরানের সাথে তেল ও পেট্রোকেমিক্যালের বাণিজ্যে নিয়োজিত চীনের প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপে অনাগ্রহী ছিলেন। আশা করা হচ্ছিল যে এতে করে ২০১৫ সালের ইরানের সাথে পরমাণু বিষয়ক চুক্তিটি পুনরুজ্জীবিত করা সম্ভব হবে।

ঐ চুক্তি অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার বিনিময়ে ইরান নিজেদের পরমাণু কর্মসূচি সীমাবদ্ধ করেছিল। তবে চুক্তিটি পুনরুজ্জীবিত করার প্রচেষ্টা এখন পর্যন্ত ব্যর্থ হয়েছে। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসনকে ইরানের উপর চাপ বৃদ্ধি করতে অন্য পন্থা খুঁজতে হচ্ছে।

XS
SM
MD
LG