অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

আফ্রিকা শৃঙ্গের লক্ষ লক্ষ ক্ষুধার্ত মানুষ চরম পদক্ষেপের আশ্রয় নিয়েছে


খরা-পীড়িত এলাকা থেকে পালিয়ে আসা সোমালিরা সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিশুর উপকণ্ঠে একটি অস্থায়ী শিবিরে বসে আছে। ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২২।
খরা-পীড়িত এলাকা থেকে পালিয়ে আসা সোমালিরা সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিশুর উপকণ্ঠে একটি অস্থায়ী শিবিরে বসে আছে। ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২২।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সতর্ক করেছে যে মানবিক সহায়তার অভাব হর্ন অফ আফ্রিকা অর্থাৎ আফ্রিকার মূল মহাদেশীয় ভূখণ্ডের পূর্বতম অঞ্চলের লক্ষ লক্ষ ক্ষুধার্ত মানুষকে বেঁচে থাকার জন্য মরিয়া পদক্ষেপ নিতে বাধ্য করছে।

হর্ন অফ আফ্রিকার পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে। সংঘাত, জলবায়ু পরিবর্তন এবং কোভিড-১৯ মহামারী এই অঞ্চলটিকে ক্ষুধার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করেছে। এটি লক্ষ লক্ষ মানুষের স্বাস্থ্য ও জীবনের জন্য বিপর্যয়কর পরিণতি ডেকে আনছে।

এই অঞ্চলের খাদ্য পরিস্থিতির সাম্প্রতিক জাতিসংঘের বিশ্লেষণে দেখা গেছে ৩ কোটি ৭০ লক্ষ থেকে ৫ কোটি লোককে আইপিসি তৃতীয় ফেজ হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়েছে৷ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে যে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা যে স্তরে পৌঁছেছে তাতে মানুষকে নিজেদের এবং তাদের পরিবারদের খাওয়ানোর জন্য তাদের সম্পত্তি বিক্রি করতে বাধ্য করছে৷ সংকটের সেই পর্যায়ে, অপুষ্টির হার ব্যাপক এবং বিশেষ পুষ্টির চিকিৎসা প্রয়োজন।

সোফি মেস হলেন বৃহত্তর হর্ন অফ আফ্রিকাতে ডাব্লিউএইচও এর জন্য খরা এবং খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা বিষয়ক পরিচালক। কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবি থেকে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেছেন যে ডাব্লিউএইচও এবং অন্যান্য সাহায্য সংস্থাগুলি তীব্র অর্থের অভাবের কারণে ক্ষুধা ও অসুস্থতা থামানোর জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করতে অক্ষম।

তিনি বলেছেন যে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির অর্থ ফুরিয়ে গেছে এবং অনেক সুবিধাভোগীদের জন্য রেশন কমাতে হয়েছিল যাতে যারা সবচেয়ে অভাবগ্রস্ত তাদের সহায়তা করতে পারে। তিনি বলেন, টানা চার বছরের খরার কারণে স্বাস্থ্যের ঝুঁকি আরও বেড়েছে। তিনি বলেছেন যে প্রত্যাশিত প্রতিকারের সম্ভাবনা নেই কারণ পূর্বাভাস ইঙ্গিত করে যে আসন্ন বর্ষা মৌসুমও খাদ্য শষ্য উৎপাদনে ব্যর্থ হবে বলে আশংকা করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, ক্রমবর্ধমান সংখ্যক মানুষ ঝুঁকিপূর্ণ আচরণে জড়িয়ে পড়ছে শুধুমাত্র কিছু খাওয়ার জন্য এবং তাদের পরিবারকে সহায়তা দেবার জন্য।

XS
SM
MD
LG