কৃষ্ণ সাগরের তীরে অবস্থিত সোচি অবকাশস্থলে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেজেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানের রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে। ইউক্রেনের শস্য মুক্ত করতে সদ্য সম্পাদিত চুক্তিটি সহ সিরিয়ার কুর্দি বাহিনীর বিরুদ্ধে তুরস্কের নতুন এক আগ্রাসনের বিষয়গুলো আলোচ্যসূচিতে থাকবে।
কৃষ্ণ সাগরের তীরবর্তী সোচি রিসোর্টে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে প্রেসিডেন্ট রেজেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানের শুক্রবারের বৈঠকটি, এক মাসের মধ্যে এই দুই নেতার মধ্যকার দ্বিতীয় সাক্ষাৎ হবে।
তুরস্ক ও জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যকার চুক্তির আওতায়, ইউক্রেনের শস্য বহনকারী প্রথম জাহাজটি কৃষ্ণ সাগরের বন্দর ছেড়ে যাওয়ার কয়েকদিন পরই এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
দুভার নিউজ পোর্টালের বিশ্লেষক ইলহান উজগেল বলেন যে, জাতিসংঘের চুক্তিটির মধ্যস্থতা করতে এরদোয়ানের সফলতা এবং সোচিতে সাক্ষাৎটি তুরস্কের পশ্চিমা মিত্রদের কাছে তুরস্কের নেতা সম্পর্কে এক শক্তিশালী বার্তা দেয়।
বন বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাসের অধ্যাপক এবং তুরস্ক-রাশিয়া সম্পর্ক বিষয়ক বিশেষজ্ঞ, জাউর গ্যাসিমভ বলেন, ইউক্রেনের সংঘাতের বিষয়ে তুরস্কের ভারসাম্যপূর্ণ পন্থা, শস্য বিষয়ক চুক্তিটি রাশিয়া ও তুরস্কের মধ্যে সম্পর্ক আরও গভীর করে তুলবে।
উত্তর আফ্রিকা থেকে আরম্ভ করে মধ্যপ্রাচ্য হয়ে ককেশাস পর্যন্ত তুরস্ক-রাশিয়া সম্পর্কটি প্রতিদ্বন্দ্বীতা ও সহযোগীতার এক সংমিশ্রণে একে অপরের সাথে জড়িয়ে আছে। জ্বালানী বিষয়েও এই দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক গভীরতর হয়ে চলেছে।