অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

এনআইডিতে থ্যালাসেমিয়ার তথ্য অন্তর্ভুক্ত কেন নয়: হাইকোর্টের রুল


বাংলাদেশের হাইকোর্ট। (ছবি- অ্যাডোবে স্টক)
বাংলাদেশের হাইকোর্ট। (ছবি- অ্যাডোবে স্টক)

বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়পত্রে (এনআইডি) থ্যালাসেমিয়া রোগীদের তথ্য সংযুক্ত করার বিধান তৈরির পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না; তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

রবিবার (৭ আগস্ট) এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে, বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন রিটকারী আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায়।

রুলে, মন্ত্রিপরিষদসচিব, স্বাস্থ্যসচিব, আইনসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, নির্বাচন কমিশন, স্বাস্থ্যসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলকে জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আইনজীবী ইউনুছ আলনী আকন্দ বলেন, “রিটের শুনানি নিয়ে আদালত রুল জারি করেছেন। ব্যক্তির শরীরে প্রাণঘাতি থ্যালাসেমিয়া আছে কি-না, তা শনাক্ত করে জাতীয় পরিচয়পত্রের মধ্যে এ তথ্য কেন যুক্ত করা হবে না, তা জানতে চেয়ে ‍রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। এ ছাড়া, ব্যক্তির শরীরে প্রাণঘাতি থ্যালাসেমিয়া আছে কি-না, তা শনাক্ত করে জাতীয় পরিচয়পত্রের মধ্যে এ তথ্য যুক্ত করার জন্য বিধি প্রণয়ন করতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না তা জাতে চাওয়া হয়েছে রুলে।”

গত ৩১ মে রিট দায়ের করেন আইজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ। এর আগে, ২৫ মে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান তিনি। লিগ্যাল নোটিশে এই রোগের ভয়াবহতা থেকে মানুষকে রক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। এজন্য প্রত্যেক নাগরিকের জাতীয় পরিচয়পত্রে থ্যালাসেমিয়া রোগ আছে কি-না মেডিকেল প্রতিবেদন অনুযায়ী অপশন যুক্ত করতে দাবি করা হয়।

নোটিশে বলা হয়েছে, একজন থ্যালাসেমিয়া বাহক যদি আরেকজন থ্যালাসেমিয়া বাহককে বিয়ে করেন, তাহলে তাদের সন্তানের থ্যালাসেমিয়া হওয়ার ঝুঁকি বেশি। তবে, একজন সুস্থ মানুষ আরেকজন থ্যালাসেমিয়া বাহককে বিয়ে করতে পারবেন। কারণ তাদের সন্তান থ্যালাসেমিয়া রোগী হওয়ার আশঙ্কা ততটা থাকে না।

এই কারণে জাতীয় পরিচয়পত্রে থ্যালাসেমিয়া রোগ আছে কি-না, এ ধরনের অপশন যুক্ত থাকলে, তা দেখে বিয়ের আগেই বর এবং কনে সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন।

XS
SM
MD
LG