অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও রাশিয়ার অপ-তথ্য নতুন উপায়ে ছড়িয়ে পড়ছে


 ইউক্রেনের ভিন্নিতসিয়াতে একটি ভয়াবহ রাশিয়ান ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত একটি গাড়িতে রক্তের দাগ দেখা যাচ্ছে। ১৪ই জুলাই, ২০২২।
ইউক্রেনের ভিন্নিতসিয়াতে একটি ভয়াবহ রাশিয়ান ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত একটি গাড়িতে রক্তের দাগ দেখা যাচ্ছে। ১৪ই জুলাই, ২০২২।

গত ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করার পর, যুদ্ধ সম্পর্কে অপপ্রচার এবং ভুল তথ্য ছড়ানোর জন্য ক্রেমলিনের দুটি শীর্ষ চ্যানেল আরটি এবং স্পুটনিক নিষিদ্ধ করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।

প্রায় ছয় মাস পরে, রাশিয়া নিষেধাজ্ঞা এড়ানোর উপায় খুঁজে পাওয়ায় একই বিষয়বস্তু অন্যান্য সাইটের মাধ্যমে প্রকাশ করেছে। তারা তাদের কাজকে ছদ্ম উপায়ে পুনঃব্র্যান্ড করেছে। তারা কিছু প্রচারের দায়িত্ব কূটনীতিকদের কাছে হস্তান্তর করেছে এবং তারা নতুন ওয়েবসাইটগুলিতে বেশিরভাগ কনটেন্ট কপি করে পেস্ট করেছে। এই ওয়েবসাইটগুলির এর আগ পর্যন্ত রাশিয়ার সাথে কোনও সুস্পষ্ট সম্পর্ক ছিল না।

নিউইয়র্ক-ভিত্তিক একটি ফার্ম নিউজগার্ড, যেটি অনলাইনে ভুল তথ্য ট্র্যাক করে, তারা ২৫০টি ওয়েবসাইট চিহ্নিত করেছে যারা সক্রিয়ভাবে যুদ্ধ সম্পর্কে রাশিয়ার অপ-তথ্য ছড়াচ্ছে, সাম্প্রতিক মাসগুলিতে এর সঙ্গে কয়েক ডজন নতুন ওয়েবসাইট যুক্ত হয়েছে।

এই সাইটগুলি বৈশ্বিক সমর্থন পেতে কিছু অভিযোগ দাবি করছে যে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী, রাশিয়ার উপর প্রাণঘাতী আক্রমণ চালিয়েছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকি জনসাধারণের উপস্থিতি জালিয়াতি করে দেখাচ্ছেন এবং ইউক্রেনীয় শরণার্থীরা জার্মানি এবং পোল্যান্ডে অপরাধ করছে।

কিছু সাইট নিজেদের স্বাধীন থিঙ্ক ট্যাঙ্ক অর্থাত্ চিন্তক গোষ্ঠী বা নিউজ আউটলেট হিসাবে জাহির করে। প্রায় অর্ধেক ইংরেজি-ভাষা, অন্যগুলো ফরাসি, জার্মান বা ইতালীয় ভাষায় খবর প্রচার করে। এই ওয়েবসাইটগুলোর মধ্যে অনেক সাইট যুদ্ধের অনেক আগে সেট করা হয়েছিল এবং স্পষ্টতই রাশিয়ার সরকারের সাথে সম্পৃক্ত ছিল না তবে তারা আকস্মিকভাবে ক্রেমলিনের কথাগুলি তোতাপাখির মত বলতে শুরু করে।

নিউজগার্ডের সহ-সিইও গর্ডন ক্রোভিটজ বলেছেন, "তারা স্লিপার সাইট স্থাপন করতে পারে"। স্লিপার সাইটগুলি হল এমন ওয়েবসাইট যা বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণার জন্য তৈরি করা হয় যা মূলত সুপ্ত থাকে, ধীরে ধীরে নিরীহ বা সম্পর্কহীন পোস্টের মাধ্যমে দর্শক তৈরি করে এবং তারপর একটি নির্দিষ্ট সময়ে প্রচার বা বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণায় পরিবর্তিত হয়।

ফেইসবুক, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব, টিকটক, মেটা, সবাই ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে তাদের প্ল্যাটফর্ম থেকে আরটি এবং স্পুটনিক সরিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। কিন্তু গবেষকরা দেখেছেন যে কিছু কিছু ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা এড়াতে রাশিয়া যা করেছিল তা হচ্ছে অন্য অ্যাকাউন্ট থেকে খবর প্রকাশ করা।

XS
SM
MD
LG