বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের প্রভাবে, বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের সব নদ-নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করেছে। এতে ঐ এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পাশাপাশি বরিশাল নগরীতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।
বুধবার (১০ আগস্ট) বিকাল ৪টায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যানুযায়ী, বরিশাল বিভাগের মধ্যে বরিশাল নগরী সংলগ্ন কীর্তনখোলা নদীর পানি বিপদসীমার ১২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া, পার্শ্ববর্তী ঝালকাঠির বিষখালী নদীর পানি বিপদসীমার ১৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
অপরদিকে, ভোলা খেয়াঘাট সংলগ্ন তেঁতুলিয়া নদীর পানি বিপদসীমার ৩০ সেন্টিমিটার, ভোলার দৌলতখানের সুরমা ও মেঘনা নদীর পানি বিপদসীমার ৬৯ সেন্টিমিটার, তজুমদ্দিনের সুরমা ও মেঘনা নদীর পানি বিপদসীমার ৮৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
আর, পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের বুড়িশ্বর ও পায়রা নদীর পানি বিপদসীমার ২৯ সেন্টমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বরগুনার বিষখালী নদীর পানি বিপদসীমার ৩৬ সেন্টমিটার, পাথরঘাটার বিষখালী নদীর পানি বিপদসীমার ৬৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এছাড়া, পিরোজপুরের বলেশ্বর নদীর পানি বিপদসীমার ২ সেন্টমিটার ও উমেদপুরের কচা নদীর পানি বিপদসীমার ২০ সেন্টমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড বরিশালের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. মাসুম বলেন, “দক্ষিলাঞ্চলের ২৩টি নদীর পানির উচ্চতা প্রতিনিয়ত পর্যবেক্ষণ করা হয়। এই সব অঞ্চলের নদ নদীর পানিই বর্তমানে বিপদসীমার ওপরে রয়েছে।”
এদিকে, টানা বৃষ্টিপাত ও নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করায়, দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ঘর বাড়িতে পানি ঢুকে জলবন্দি হয়ে পড়েছে কয়েক হাজার মানুষ। বরিশাল নগরীর বিভিন্ন সড়কে পানি উঠে গেছে, নগরীর নিম্নাঞ্চল জলমগ্ন হয়ে পড়েছে।
বরিশাল আবহাওয়া অধিদপ্তরের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক আব্দুল কুদ্দুস বলেন, “বুধবার বিকাল ৩টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ২৪ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বাতাসের গতিবেগ ছিল ৮ থেকে ১২ নটিক্যাল মাইল। বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের কারণে এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। আরও দুই-একদিন দিন বৃষ্টি থাকবে।”
কক্সবাজারে পর্যটকদের সমুদ্রে না নামার নির্দেশ
কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিম জানান, “সমুদ্রে ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত থাকায় সাগর উত্তাল। দুর্ঘটনা এড়াতে, পর্যটকদের পানিতে নামার ক্ষেত্রে নিরুৎসাহিত করছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। সৈকতে টহলরত ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা পর্যটকদের সচেতনতায় মাইকিং করছেন।”
কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের প্রধান আবহাওয়াবিদ আবদুল হামিদ মিয়া জানান, “কক্সবাজারের উপকূলীয় এলাকায় থাকা ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরা ট্রলারকে পরবর্তী সংকেত না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।”