বর্তমান জ্বালানি ও গ্যাস সংকটকে, সাময়িক বলে উল্লেখ করেছেন বাংলাদেশের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।আগামী কয়েক মাস ধৈর্য ধরার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান তিনি। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে সরকার পেট্রোলিয়াম জ্বালানির দাম বাড়াতে বাধ্য হয়েছে বলে জানান জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী।
প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, “আমি আপনাদের আশ্বস্ত করতে পারি, বিশ্ববাজারে পেট্রোলিয়াম ও গ্যাসের দাম কমলে আমরা নিশ্চিতভাবে সে অনুযায়ী স্থানীয় দাম সমন্বয় করব।”
রবিবার (১৪ আগস্ট) রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনে এক সেমিনারে একথা বলেন প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, “আমরা পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। দয়া করে, এক-দুই মাস ধৈর্য ধরুন এবং পরিস্থিতি মোকাবেলায় ঐক্যবদ্ধ হোন। আগামী মাসের শেষের দিকে সরকার লোডশেডিং থেকে বেরিয়ে আসবে।”
প্রতিমন্ত্রীর দাবি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে সরকার পেট্রোলিয়াম জ্বালানির দাম বাড়াতে বাধ্য হয়েছে যা বিশ্ব বাজারে দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। তিনি বলেন, “এই যুদ্ধের প্রভাব সর্বত্র এবং আমরা এর বাইরে নই।”
জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস উপলক্ষে, ফোরাম ফর এনার্জি রিপোর্টার্স বাংলাদেশ (এফইআরবি) এবং যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গ্যাস কোম্পানি শেভরন যৌথভাবে ‘বাংলাদেশে জ্বালানি নিরাপত্তা: অস্থির আন্তর্জাতিক বাজার’ শীর্ষক এই সেমিনারের আয়োজন করে।
এফইআরবির সভাপতি শামীম জাহাঙ্গীর সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন।এনার্জি অ্যান্ড পাওয়ার ম্যাগাজিনের সম্পাদক মোল্লা আমজাদ হোসেন মূল নিবন্ধ উপস্থাপন করেন।
সেমিনারে অধ্যাপক বদরুল ইমাম বলেন, “সাম্প্রতিক দশকে গ্যাস অনুসন্ধানে উদ্যোগের অভাবে জ্বালানি খাতের সমস্যা বর্তমানে শাখা ও উপ-শাখায় প্রসারিত হয়েছে। গত ১০ বছরে মিয়ানমার রাখাইন রাজ্যে বিপুল পরিমাণ গ্যাস আবিষ্কার করেছে। বিপুল সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও আমাদের ভূখণ্ডের মধ্যে অবস্থিত পার্শ্ববর্তী গ্যাস ব্লক-১১ এ গ্যাস অনুসন্ধান করতে পারেনি বাংলাদেশ। কেন আমরা আমাদের এলাকায় অনুসন্ধান করতে ব্যর্থ হলাম এই প্রশ্নের উত্তর জরুরি।”
এম শামসুল আলম বলেন, “বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) প্রাকৃতিক গ্যাস ও এলপিজির মতো পেট্রোলিয়াম জ্বালানির দাম নির্ধারণের বৈধ কর্তৃপক্ষ। কিন্তু বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি) আইনকে অমান্য করে পেট্রোলিয়ামের দাম নির্ধারণ করেছে, যার কোনো জবাবদিহিতা নেই।”