অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

কুয়েতে ‘প্রোপাগান্ডা আক্রমণ’-এর লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনীকে


যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনীর তোলা এই ছবিতে দেখা যাচ্ছে, এক সামরিক মহড়া চলাকালে, কুয়েতের আলী আল সালেম বিমানঘাঁটিতে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর ১৬৩ ক্যাভালরি রেজিমেন্টের ১ম কম্বাইন্ড আর্মস ব্যাটালিয়নের সৈন্যরা একটি সি-১৭ গ্লোবমাস্টার III বিমানে আরোহন করছেন, ১০ আগস্ট ২০২২।
যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনীর তোলা এই ছবিতে দেখা যাচ্ছে, এক সামরিক মহড়া চলাকালে, কুয়েতের আলী আল সালেম বিমানঘাঁটিতে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর ১৬৩ ক্যাভালরি রেজিমেন্টের ১ম কম্বাইন্ড আর্মস ব্যাটালিয়নের সৈন্যরা একটি সি-১৭ গ্লোবমাস্টার III বিমানে আরোহন করছেন, ১০ আগস্ট ২০২২।

যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনী শনিবার জানায় যে তারা একটি “প্রোপাগান্ডা আক্রমণের” শিকার হয়েছে। ইতোপূর্বে নাম শোনা যায়নি, ইরাকের এমন এক জঙ্গীগোষ্ঠী মিথ্যা দাবি করে যে, তারা কুয়েতে আমেরিকার সামরিক ঘাঁটিতে অবস্থিত সেনাদের উপর ড্রোন হামলা চালিয়েছে।

ঐ গোষ্ঠী অনলাইনে এমন দাবি জানিয়ে বিবৃতি দেওয়ার কয়েকঘন্টা পরই বিমানবাহিনীর ৩৮৬ এয়ার এক্সপেডিশনারী উইং দাবিটি প্রত্যাখ্যান করে এক বিবৃতি প্রকাশ করে। গোষ্ঠীটি নিজেদের আল-ওয়ারিদিন নামে অভিহিত করেছে যার অর্থ “ওয়ারিশ বা উত্তরাধিকারী”। বিবৃতিতে গোষ্ঠিটি দাবি করে যে, ১২ আগস্ট কুয়েতের আলী আল সালেম বিমানঘাঁটিতে তারা হামলা চালায়। বিবৃতিতে একটি ভিডিও চিত্র সংযুক্ত ছিল, যাতে দেখানো হয়, একটি স্ট্যান্ড থেকে একটি ড্রোন উড্ডয়ন করছে। তবে তাতে আক্রমণ চালানো বা ঐ ঘাঁটিতে ক্ষয়ক্ষতির কোন প্রমাণ দেওয়া হয়নি।

বিবৃতিতে দাবি করা হয় যে, ২০২০ এর জানুয়ারিতে বাগদাদে ইরানের রেভোল্যুশনারী গার্ডের বিশিষ্ট জেনারেল কাসেম সোলেমানিকে যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন হামলার মাধ্যমে হত্যার প্রতিশোধের উদ্দেশ্যে এই আক্রমণটি চালানো হয়।

ঐ বিমানঘাঁটি ইরাকের সীমান্ত থেকে ডজনকয়েক কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।

দ্য অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে দেওয়া বিমানবাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়, “ঐ অপতথ্যটি মিথ্যাভাবে দাবি করে যে, ইরানের এক আধাসামরিক গোষ্ঠী, ড্রোন ব্যবহার করে ঘাঁটিতে একটি আক্রমণ চালিয়েছে। প্রকৃতপক্ষে এমন কোন হামলার ঘটনা ঘটেনি।”

বিবৃতিতে ইঙ্গিত করে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বাস করে যে আল-ওয়ারিদিন সম্ভবত ইরানের একটি গোষ্ঠী, যদিও তারা নিজেদের ইরাকি বলে বর্ণনা করেছে।”

বিমানবাহিনী আরও বলে যে, অনলাইনে করা দাবিটি “শুধুমাত্র সেটির দর্শকদের একটি মিথ্যাকে বিশ্বাস করানোর উদ্দেশ্যে তৈরি” এবং বিমানবাহিনী ও কুয়েত “ঐ এলাকাজুড়ে বাধাহীনভাবে নিজেদের বিমানবাহিনীর শক্তি প্রদর্শন অব্যাহত রেখেছে।”

১২ আগস্ট এর পর প্ল্যানেট ল্যাবস পিবিসি থেকে পাওয়া স্যাটেলাইট ছবি বিশ্লেষণ করে এপি দেখেছে যে, ঐ ঘাঁটিতে ক্ষয়ক্ষতির কোন চিহ্ন লক্ষ্য করা যায়নি।

XS
SM
MD
LG