কাতারের ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি উপসাগরীয় দেশ থেকে এলএনজি ও সার আমদানিতে কাতারের আরও সহযোগিতা কামনা করেন।
সোমবার (২২ আগস্ট) ঢাকা সফররত কাতারের শ্রমমন্ত্রী ড. আলী বিন সাঈদ বিন স্মাইখ আল মারি, গণববনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী এই সহযোগিতা কামনা করেন।
সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
বাংলাদেশে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কাতার সেখানে শিল্প স্থাপনে চীন, ভারত, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার মতো জমি নিতে পারে। শেখ হাসিনা বলেন, “বাংলাদেশ ঘনিষ্ঠ ভ্রাতৃপ্রতিম দেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে বিশেষ অগ্রাধিকার দেয়।”
রোহিঙ্গা ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমারের ১১ লাখ নাগরিক এখন দেশের জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তার সরকার উন্নত জীবনযাপনের জন্য প্রায় ৩০ হাজার রোহিঙ্গাকে ভাসানচর দ্বীপে স্থানান্তর করেছে। ওআইসি এই বিষয়ে বাংলাদেশকে সমর্থন করছে।”
সাক্ষাৎকালে কাতারের মন্ত্রী বলেন, “জনশক্তি বিষয়ে বাংলাদেশের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান বিষয়ক মন্ত্রীর সঙ্গে তার ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে।”
কাতারের মন্ত্রী বাংলাদেশকে জ্বালানি ও চিকিৎসা খাতে সহযোগিতা করার আগ্রহ প্রকাশ করেন। তার দেশে কর্মরত বাংলাদেশি শ্রমিকদের ভূয়সী প্রশংসা করে ড. আলী বিন সাদ বলেন, “বর্তমানে সেখানে চার লাখ বাংলাদেশি কাজ করছে এবং তারা দেশটিতে কর্মরত দ্বিতীয় বৃহত্তম প্রবাসী সম্প্রদায়।
তিনি বলেন, কাতার এখন আগামী ২০ নভেম্বর শুরু হতে যাওয়া আসন্ন বিশ্বকাপ ফুটবলের জন্য প্রস্তুত। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানান। বৈঠকে ড. আলী বিন সাদ শেখ হাসিনাকে কাতারের আমির ও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানান।