জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় বলেছে যে ইউক্রেনের দোনেৎস্ক অঞ্চলে রাশিয়া এবং তার সশস্ত্র মিত্ররা ইউক্রেনের যুদ্ধবন্দিদের বিচারের মুখোমুখি করার পরিকল্পনা করছে, যা যুদ্ধাপরাধ হতে পারে।
ইউক্রেনের বন্দর নগরী মারিউপোলে আগামী দিনে এই ট্রায়াল হতে পারে বলে জানা গেছে। জাতিসংঘের অধিকার সংস্থা উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যে অপরাধের জন্য অভিযুক্ত যুদ্ধবন্দিরা যথাযথ প্রক্রিয়া এবং ন্যায্য বিচারের নিশ্চয়তা পাবে না, যে অধিকার এই যুদ্ধবন্দিদের আছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকারের মুখপাত্র রাভিনা শামদাসানি বলেছেন, আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী যুদ্ধবন্দিদের যুদ্ধের সময়ে কিছু অব্যাহতি রয়েছে। তিনি বলেন, বৈরীতায় অংশ নেওয়ার জন্য বা সশস্ত্র সংঘাতের সময় আইনানুগ কাজ করার জন্য তাদের বিচার করা যাবে না।
শামদাসানি বলেন, “একটি নিরপেক্ষ এবং নিয়ম মতো গঠিত আদালতের মাধ্যমে বিচার প্রদান না করা পর্যন্ত তাদের বিরুদ্ধে কোনো শাস্তি দেওয়া যাবে না।আমরা জানি যে আন্তর্জাতিক মানবিক আইন শুধুমাত্র যুদ্ধবন্দীদের বিচার করার জন্য আদালত স্থাপন নিষিদ্ধ করে এবং তা ইচ্ছাকৃতভাবে একজন বন্দিকে বঞ্চিত করে।"
শামদাসানি যুদ্ধবন্দিদের কাছে নিরপেক্ষ নজরদারি ব্যক্তিদের গোপনে যেতে দিতে রাশিয়ার কর্তৃপক্ষের অস্বীকৃতিকে অত্যন্ত উদ্বেগজনক বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন যে এটি যুদ্ধবন্দিদের কাছ থেকে জোর করে স্বীকারোক্তি আদায়ের জন্য নির্যাতনের পথ খুলে দেয়।
শামদাসানি বলেন, "এবং, অবশ্যই, আমরা খুব উদ্বিগ্ন যে এই ছবি ও ভিডিও ফুটেজগুলি রয়েছে যা এই যুদ্ধবন্দীদের দেখানোর জন্য মারিউপোলের ফিলহারমনিক হলে খাঁচা তৈরি করা হচ্ছে, যা অবশ্যই অপমানজনকও"।