অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

উত্তর কোরিয়া বিষয়ে ইয়ুনের উদ্যোগে মানবাধিকার প্রসঙ্গটি নেই


প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণের ১০০ দিন উপলক্ষে, দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সোওল-এ প্রেসিডেন্টের দফতরে ‍অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইয়ুন সুক ইয়োল, ১৭ আগস্ট ২০২২।
প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণের ১০০ দিন উপলক্ষে, দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সোওল-এ প্রেসিডেন্টের দফতরে ‍অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইয়ুন সুক ইয়োল, ১৭ আগস্ট ২০২২।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইয়ুন সুক ইয়োল-এর “সাহসী উদ্যোগ”টিতে উত্তর কোরিয়ায় মানবাধিকার পরিস্থিতি উন্নয়নের লক্ষ্য অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। তাদের মতে, সম্ভাব্য আলোচনার একেবারে শুরুতে না হলেও, যদি উত্তর কোরিয়া তাদের পারমাণবিক অস্ত্র ত্যাগ করতে রাজি হয়, তাহলে আলোচনার শুরুতেই অন্তত মানবাধিকারের বিষয়টি রাখা উচিত।

প্রেসিডেন্ট ইয়ুন সুক ইয়োল-এর উর্ধতন কর্মকর্তারা তার উদ্যোগকে কোরীয় উপদ্বীপে শান্তি অর্জন ছাড়াও, আন্তঃকোরীয় সম্পর্ক স্বাভাবিক করার এক “সর্বাঙ্গীন” পথনকশা হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তারা বলেন, এই “সাহসী” পরিকল্পনাটির মধ্যে রয়েছে, উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের বিনিময়ে দেশটিকে বিপুল পরিমাণ অর্থনৈতিক প্রণোদনা প্রদান করা।

যদিও ইয়ুন বলেছেন, এই পরিকল্পনা “মানুষের জীবিকার” উন্নয়ন ঘটাবে। তিনি উত্তর কোরিয়ার মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে সরাসরি কিছু উল্লেখ করেননি। বিশেষজ্ঞরা আভাস দিয়েছেন যে, যদি আলোচনা আরও এগিয়ে যায়, তবে, এই বিষয়গুলোও ধীরে ধীরে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রক ভয়েস অফ আমেরিকার’র কোরিয়া সার্ভিসকে বৃহস্পতিবার বলে যে, উত্তর কোরিয়ার মানবাধিকার লঙ্ঘনকে ইয়ুনের সরকার একটি “গুরুতর” সমস্যা মনে করে এবং “আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সক্রিয় সহযোগিতার মাধ্যমে” দেশটিতে “মানবাধিকার ও মানবিক পরিস্থিতির উন্নয়ন” করতে চায়।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রকের এক মুখপাত্র ভিওএ কোরিয়া সার্ভিসকে বৃহস্পতিবার বলেন যে, পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের লক্ষ্যে উত্তর কোরিয়ার সাথে দক্ষিণ কোরিয়ার কূটনীতিকে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন করে। ঐ মুখপাত্র আরও বলেন, “আমরা [উত্তর কোরিয়ার] মানবাধিকার পরিস্থিতি বিষয়ে উদ্বিগ্ন এবং মানবাধিকারকে আমাদের পররাষ্ট্রনীতির কেন্দ্রে স্থান দিতে, যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

এর আগে ১৯ আগস্ট, উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের ক্ষমতাধর বোন, কিম ইয়ো জং, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রস্তাবটিকে “অযৌক্তিক” বলে তা প্রত্যাখান করেন। এরপরও উত্তর কোরিয়ার আলোচনায় বসার কোন পরিকল্পনা রয়েছে কিনা, এ প্রশ্ন করে জাতিসংঘে উত্তর কোরিয়ার মিশনের সাথে ভিওএ’র কোরিয়া সার্ভিস যোগাযোগ করে। তবে, প্রশ্নটির কোন জবাব পাওয়া যায়নি।

XS
SM
MD
LG