অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

জাপানি-আফ্রিকান অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৈঠকের আয়োজক দেশ তিউনিসিয়া


বাম থেকে: সেনেগালের প্রেসিডেন্ট ম্যাকি সাল, তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট কাইস সাইয়েদ ও জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়োশিমাসা হায়াশি। অষ্টম টোকিও ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন আফ্রিকান ডেভেলপমেন্টে (টাইক্যাড) অংশ নিতে তারা তিনিসিয়ার রাজধানি তিউনিসে রয়েছেন। (২৭ আগস্ট, ২০২২)
বাম থেকে: সেনেগালের প্রেসিডেন্ট ম্যাকি সাল, তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট কাইস সাইয়েদ ও জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়োশিমাসা হায়াশি। অষ্টম টোকিও ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন আফ্রিকান ডেভেলপমেন্টে (টাইক্যাড) অংশ নিতে তারা তিনিসিয়ার রাজধানি তিউনিসে রয়েছেন। (২৭ আগস্ট, ২০২২)

শনিবার আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের প্রধান, আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধি ও বেসরকারি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানরা তিউনিসিয়ায় সমবেত হন। সেখানে তারা টোকিও ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন আফ্রিকান ডেভেলপমেন্ট শীর্ষক একটি ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে যোগ দেন। আফ্রিকায় প্রবৃদ্ধি ও নিরাপত্তা বৃদ্ধির লক্ষ্যে জাপান এই সম্মেলনের আয়োজন করে।

আফ্রিকার অনেক দেশ, কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে অর্থনৈতিক মন্দায় ভুগছে। ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার যুদ্ধের বিরুপ প্রভাবে সেখানে খাদ্য সংকট বেড়েছে। তার ওপর আছে জলবায়ু পরিবর্তনের সমস্যা। আশা করা হচ্ছে দুই দিনের এই সম্মেলনে এ সমস্যাগুলো চিহ্নিত করা হবে।

এ সম্মেলনে আফ্রিকার দেশগুলোতে চলা উত্তেজনাও প্রভাব ফেলছে। শুক্রবার মরক্কো এই সম্মেলন বর্জন করার ঘোষণা দেয় এবং তিউনিসিয়া নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যাহার করে। পশ্চিম সাহারার স্বাধীনতাকামী পোলিসারিও ফ্রন্ট মুভমেন্টের প্রতিনিধিকে সম্মেলনে অন্তর্ভূক্ত করার প্রতিবাদে মরক্কো এই ব্যবস্থা নেয়।

এমন সময়ে এ সম্মেলন শুরু হল, যখন রাশিয়া ও চীন আফ্রিকায় তাদের অর্থনৈতিক ও অন্যান্য প্রভাব বাড়ানোর চেষ্টা করছে।

তিউনিসিয়ার রাজধানী তিউনিসের এই সম্মেলনে আফ্রিকার ৩০টি দেশ ও সরকার প্রধান যোগ দিলেও অনেক গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হচ্ছে ভার্চুয়াল মাধ্যমে। এর মধ্যে করোনা আক্রান্ত জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদিা ভার্চুয়াল ব্যবস্থায় অংশ নিচ্ছেন।

জাপান সরকার ১৯৯৩ সালে প্রথমবারের মত টাইক্যাড সম্মেলন প্রতিষ্ঠা করে এবং এর আয়োজন করে। এখন এই সম্মেলন জাপানের সঙ্গে যৌথভাবে আয়োজন করে জাতিসংঘ, আফ্রিকান ইউনিয়ন এবং বিশ্বব্যাংক। এই শীর্ষসম্মেলন এখন আফ্রিকার ২০ টি দেশে ২৬টি উন্নয়ন প্রকল্প শুরু করেছে।
এ বছরের আলোচনায় আফ্রিকায় জাপানের বিনিয়োগ বাড়ানো বিষয়ে গুরুত্ব পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিশেষ করে, নতুন প্রতিষ্ঠান ও খাদ্য নিরাপত্তা উদ্যোগ গুরুত্ব পাবে। জাপান জানিয়েছে, তারা প্রতিশ্রুত ১৩ কোটি ডলারের খাদ্য সহায়তার পাশাপাশি চাল উৎপাদনের জন্যও সহায়তা করবে।
তবে সপ্তাহান্তে আয়োজিত এই সম্মেলন তিউনিসে বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। দেশটি তীব্র অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি দেশটিতে খাবারের দাম বেড়েছে এবং জ্বালানি স্বল্পতা দেখা দিয়েছে।

সম্মেলন উপলক্ষে পরিচ্ছন্নতার জন্যে সমালোচনা চলছে। সমালোচনা হচ্ছে শীর্ষ সম্মেলনের জন্য রাস্তাঘাট পরিষ্কার ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্যও। এক স্থানীয় ধারাভাষ্যকার বলেন, উত্তর আফ্রিকার এই রাজধানী শহরকে দেখে মনে হচ্ছে, অংশগ্রহণকারীদের মুগ্ধ করতে এখানে ‘মেকআপ’ ব্যবহার করা হয়েছে।

এদিকে, শীর্ষ সম্মেলনের সংবাদ প্রচারে কড়াকড়ি আরোপ করায়, তিউনিসিয়ার সাংবাদিক ইউনিয়ন শুক্রবার এক বিবৃতিতে প্রতিবাদ জানিয়েছে।

XS
SM
MD
LG