তালিবানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রবিবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ করেন যে, আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ড্রোন হামলা পরিচালনা করতে যুক্তরাষ্ট্রকে নিজেদের আকাশসীমা ব্যবহার করতে দিচ্ছে পাকিস্তান।
৩১ জুলাই কাবুলের কেন্দ্রে নিজ আস্তানায় লুকিয়ে থাকা আল-কায়েদা নেতা আয়মান আল-জাওয়াহিরি, ড্রোন থেকে চালানো এক ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহত হয় বলে জানিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। এর প্রায় একমাস পর রবিবার এমন অভিযোগ করলেন মোহাম্মাদ ইয়াকুব।
আফগানিস্তানের রাজধানীতে এক সংবাদ সম্মেলনে ইয়াকুব বলেন যে, সে সময়ের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোনগুলো তার দেশের আকাশসীমায় চলাচল অব্যাহত রেখেছে। যা তাদের ভূখণ্ডের সার্বভৌমত্বকে লঙ্ঘন করে। তিনি যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তান, উভয় দেশের প্রতি এমন লঙ্ঘন বন্ধ করতে অনুরোধ জানান।
প্রত্যাহার-উত্তর অভিযানগুলো কোন প্রতিবেশী দেশের সহায়তায় চালানো হচ্ছে, সেটি তার সরকার জানে কিনা, এমন প্রশ্ন করা হলে, ঐ মন্ত্রী বলেন; তালিবানআকাশসীমা লঙ্ঘনের ঘটনা নির্দিষ্ট করে শনাক্ত করতে পারেনি। কারণ যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী যখন আফগানিস্তান ছেড়ে যাচ্ছিল, তখন “আফগান রাডার ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণ ধংস” করে দিয়েছিল।
তিনি বলেন, “কিন্তু আমাদের তথ্যমতে ড্রোনগুলো পাকিস্তানের মধ্য দিয়ে আফগানিস্তানে প্রবেশ করছে। তারা পাকিস্তানের আকাশসীমা ব্যবহার করছে। আমরা দাবি করছি, পাকিস্তান যেন আমাদের বিরুদ্ধে তাদের আকাশসীমার ব্যবহার বন্ধ করে।”
তালিবানের অভিযোগের বিষয়ে পাকিস্তানের কর্মকর্তারা তাৎক্ষণিকভাবে কোন মন্তব্য করেননি। তবে, যুক্তরাষ্ট্রের ঐ হামলায় তাদের দেশেরও ভূমিকা ছিল, গণমাধ্যমের এমন প্রতিবেদন এর আগে অস্বীকার করেছিল পাকিস্তানের কর্তৃপক্ষ।
এখনও পর্যন্ত তালিবান নেতারা এক অজ্ঞাত প্রতিবেশী দেশকে এই বলে সতর্ক করছে যে, আল-জাওয়াহিরিকে হত্যা করার জন্য আকাশ হামলায়, যুক্তরাষ্ট্রকে নিজেদের ভূখণ্ড ব্যবহার করতে দেওয়া দেশটিকে “খারাপ ফল ভোগ করতে হবে”। ঐ হামলার সময় আল-জাওয়াহিরি কাবুলের একটি বিলাসবহুল এলাকায় নিজ বাসার বারান্দায় দাঁড়িয়ে ছিলেন, তিনি ঐখানে লুকিয়ে ছিলেন।