অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে ওএমএস ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি: খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার


খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার

বাংলাদেশে ১ সেপ্টেম্বর থেকে দেশব্যাপী ওএমএস ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি চালু হচ্ছে। মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) দুপুরে নওগাঁ সার্কিট হাউস মিলনায়তনে, আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এ কথা জানান।

এসময় খাদ্যমন্ত্রী বলেন, “বাংলাদেশে এখন, এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ পরিমাণ চালের মজুদ রয়েছে। তারপরও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত ও বাজার নিয়ন্ত্রণের জন্য চাল আমদানি বাড়াতে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বৈরি আবহাওয়ার কারণে দেশে আমন আবাদ কিছুটা ব্যাহত হতে পারে। সে বিষয়টি বিবেচনায় রাখা হয়েছে।”

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, “চলতি বোরো সংগ্রহ অভিযানে সোমবার পর্যন্ত ১৯ লাখ ৫০ হাজার ৫৩১ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহ হয়েছে। চালের এ মজুত এ যাবৎকালের মধ্যে সর্বোচ্চ। সংগ্রহ অভিযান আরও দুই দিন (মঙ্গলবার ও বুধবার) চলবে। দুই দিনে লক্ষ্যমাত্রার বাকি ৫০ হাজার মেট্রিক টন চাল সংগ্রহ হয়ে যাবে। বাজারে কৃষকরা এবার ধানের দাম ভালো পাওয়ায়, ধান সংগ্রহ লক্ষ্যমাত্রার প্রায় অর্ধেক পূরণ হয়েছে। সরকারিভাবে ধান সংগ্রহের মূল লক্ষ্য হচ্ছে কৃষকরা যাতে বাজারে ধানের ভালো দাম পায়। সেই লক্ষ্যও আমাদের পূর্ণ হয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “শুধু চাল মজুদ নয়, অন্যান্য খাদ্য মজুদের ক্ষেত্রেও ঘাটতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। গম মজুদের ক্ষেত্রে একটা সমস্যা ছিল, সেটাও কেটে গেছে। রাশিয়া ও ইউক্রেন থেকে ইতোমধ্যে গম আমদানির ব্যবস্থা হয়েছে।”

সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, “সম্প্রতি আমাদের হিসাবের বাইরে হঠাৎ করে চালের দাম পাঁচ থেকে ছয় টাকা বেড়ে যায়। এতে মানুষ দুর্ভোগে পড়েছেন। মানুষের এ কষ্ট লাঘবের জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে সারাদেশে এক যোগে ওএমএস ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি চালু হচ্ছে। আগে সারাদেশে ৮১৩টি ওএমএস কেন্দ্র চালু ছিল। এবার সেই সংখ্যা বাড়িয়ে ২ হাজার ৩৬৩টি করা হয়েছে। আগে ওএমএসের একজন ডিলার এক টন চালের বরাদ্দ পেতেন। এখন প্রত্যেক ডিলার দুই মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ পাবেন। এছাড়া মহানগরগুলোতে ট্রাকে বিক্রি করার জন্য সাড়ে তিন মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ পাবেন। ওএমএসের মাধ্যমে বিতরণ করা প্রতি কেজি চালের মূল্য হবে ৩০ টাকা। ওএমএস কেন্দ্রে টিসিবি কার্ডধারীদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে।”

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, “খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির মাধ্যমে সারাদেশে ৫০ লাখ পরিবারের মাঝে চাল বিতরণ করা হবে। প্রতিটি পরিবার ১৫ টাকা কেজি দরে মাসে একবার ৩০ কেজি চাল কিনতে পারবে। লক্ষ্যমাত্রার ৫০ লাখ পরিবারের মধ্যে, ইতোমধ্যে ৮০ শতাংশ যাচাই-বাছাই কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আগামী মাসের মধ্যে বাকি ২০ শতাংশ পরিবারের যাচাই-বাছাই কাজ শেষ হবে। ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে সুবিধাভোগী প্রত্যেক পরিবারকে স্মার্ট কার্ড দেয়া হবে। এর ফলে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতেও কোনো অনিয়মের সুযোগ থাকবে না।”

XS
SM
MD
LG