অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

আগস্টে ৩৮৩ জন সার ব্যবসায়ীকে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত: কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক


কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক
কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক

বাংলাদেশের কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক জানিয়েছেন, “সারের কৃত্রিম সংকট ও কারসাজি রোধে সারা দেশে চলতি আগস্ট মাসে ৩৮৩টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। এর মাধ্যমে, বিভিন্ন অনিয়মে জড়িত ৩৮৩জন ডিলার ও খুচরা ব্যবসায়ীকে ৫৭ লাখ ৬৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।”

মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান তিনি। কৃষিমন্ত্রী বলেন, “যশোর জেলায় সবচেয়ে বেশি, ৬০টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। এছাড়া ময়মনসিংহে ৩৫টি, নওগাঁয় ৩১টি, ঠাকুরগাঁও ও নড়াইলে ২০টি করে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে।”

আব্দুর রাজ্জাক বলেন, “নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যারা অনিয়ম করেছে তাদের লাইসেন্স বাতিল করার জন্য। লাইসেন্স দিয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়। আমরা তাদের কাছে সুপারিশ পাঠাচ্ছি, তারা এটা পরীক্ষা করবে এবং অনেক ডিলারের লাইসেন্স বাতিল হবে বলে আমরা মনে করছি।”

আব্দুর রাজ্জাক বলেন, “আমাদের গুদামে সারের সংকট নেই। গত বছরের চেয়ে এবার বেশি সার দিচ্ছি। তারপরও কেন দাম বাড়বে। এখানে আমাদের প্রশাসনের কিছুটা ব্যর্থতা নিশ্চয়ই আছে। দাম বাড়ার তো কোন কারণ নেই। সংকট নেই।”

কৃষিমন্ত্রী জানান, “আগস্ট পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারিভাবে আমদানি করা এক লাখ ৮০ হাজার টন এমওপি সার দেশে পৌঁছেছে। আগামী সেপ্টেম্বর মাসে এক লাখ ১৬ হাজার টন সার পৌঁছবে। অন্যদিকে, সেপ্টেম্বরে ৫১ হাজার টন ও অক্টোবর ৭০ হাজার টন এমওপি সারের চাহিদা রয়েছে। ফলে চাহিদার চেয়ে মজুদ অনেক বেশি হবে।”

“চাহিদার বিপরীতে সব রকমের সারের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। বর্তমানে (২৫ আগস্ট) ইউরিয়া সারের মজুদ ৬ লাখ ৫৬ হাজার মেট্রিক টন, টিএসপি ৩ লাখ ৯৪ হাজার টন, ডিএপি ৮ লাখ ২৩ হাজার টন, এমওপি ২ লাখ ৭৩ হাজার টন। সারের বর্তমান মজুতের বিপরীতে আমন মৌসুমে (আগস্ট থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত) চাহিদা হলো ইউরিয়া ৬ লাখ ১৯ হাজার টন, টিএসপি ১ লাখ ১৯ হাজার টন, ডিএপি ২ লাখ ২৫ হাজার টন, এমওপি ১ লাখ ৩৭ হাজার টন। বিগত বছরের একই সময়ের তুলনায়, সারের বর্তমান মজুদ বেশি;” জানান কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক।

XS
SM
MD
LG