চীনের ক্রমবর্ধমান নৌ-শক্তিকে মোকাবেলা করতে, অভ্যন্তরীণভাবে তৈরি করা প্রথম বিমানবাহী রণতরী উদ্বোধন করেছে ভারত।
এছাড়াও, দেশটি তাদের প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদনের সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে চাচ্ছে। বর্তমানে ভারত সামরিক সরঞ্জামের জন্য ব্যাপকভাবে বিদেশ নির্ভরশীল।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভারতের দক্ষিণাঞ্চলের কেরালা রাজ্যে শুক্রবার এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে জাহাজটি উদ্বোধন করেন। জাহাজটি ২৬২ মিটার লম্বা ও ৬০ মিটার চওড়া। বিমানবাহী রণতরীটির নাম “বিক্রান্ত” যার অর্থ সাহসী। এই বিমানবাহী জাহাজের উদ্বোধন ভারতের স্বাধীনতার ৭৫তম জয়ন্তী উদযাপন কর্মসূচির অংশ।
এ ধরণের জাহাজ তৈরিতে সক্ষম হাতে গোনা কয়েকটি দেশের একটিতে পরিণত হওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে মোদী বলেন যে, বিক্রান্ত দেশকে নতুন আত্মবিশ্বাসে পূর্ণ করেছে।
তিনি বলেন, “এটি এক ঐতিহাসিক দিন ও বিশাল অর্জন। এটি ভারতের প্রতিরক্ষা খাতকে স্বনির্ভর করতে সরকারের প্রবল চেষ্টার একটি উদাহরণ।”
ৎমোদীর সরকার দেশীয়ভাবে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদনের শিল্প প্রতিষ্ঠায় গুরুত্ব আরোপ করেছে, যাতে করে বিদেশী অস্ত্রের ওপর দেশটির ব্যাপক নির্ভরতা কমিয়ে আনা যায়। ভারত বিশ্বের সর্বোচ্চ অস্ত্র আমদানিকারক দেশগুলোর একটি। বর্তমানে দেশটির শিপইয়ার্ডগুলোতে দুই ডজনেরও বেশি নৌবাহিনীর জাহাজ ও সাবমেরিন তৈরি হচ্ছে।
নৌবাহিনী জানিয়েছে যে, নতুন এই রণতরীটি তৈরিতে ২৫০ কোটি ডলার ব্যয় হয়েছে। প্রায় ১,৬০০ নাবিকসহ এটি পরিচালনা করা যাবে। জাহাজটিতে থাকবে ৩০টি বিমানের একটি বহর, যার মধ্যে জঙ্গিবিমান ও হেলিকপ্টার রয়েছে। জাহাজটিতে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতির ৭৫% এরও বেশি অভ্যন্তরীণভাবে উৎপাদন করা হয়েছে।
জাহাজটি নির্মাণ ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে ১৭ বছরেরও বেশি সময় ধরে । এরপর এই বিমানবাহী জাহাজ এক বছর ধরে সমুদ্রে পরীক্ষামূলক চলাচল শেষ করেছে। প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক রাহুল বেদী ভিওএ-কে বলেন যে, বিমানের স্বল্পতার কারণে বিমানবাহী রণতরীটিকে আগামী বছরের শেষের আগে পুরোপুরিভাবে চালু করা সম্ভব হবে না।
নতুন এই বিমানবাহী রণতরিটি ভারতের দ্বিতীয় বিমানবাহী রণতরী। প্রথমটি সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নে তৈরি করা হয়েছিল।