অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

সাইবার সেন্টার ফর এক্সিলেন্স গড়ে তুলবে বাংলাদেশ: প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক


যুক্তরাজ্যের নিউপোর্ট ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে অন্যান্যদের সাথে প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক
যুক্তরাজ্যের নিউপোর্ট ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে অন্যান্যদের সাথে প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক

বাংলাদেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, “সাইবার জগতে নেতৃত্ব দিতে ‘সাইবার সেন্টার ফর এক্সিলেন্স’ উন্নয়নে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে বাংলাদেশ। এরই অংশ হিসেবে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে ডিজিটাল সংহতির আরও সুদৃঢ় করা হচ্ছে।”

প্রতিমন্ত্রী শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাজ্যের নিউপোর্ট ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে, কমিউনিটি ইন্টারেস্ট কোম্পানি, সাইবার ওয়েলসের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান কর্নেল জন ডেভিস (এমবিই) এবং প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠককালে এ কথা বলেন।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, সাইবার ওয়েলসের ডিরেক্টর জেসন ডেভিস, ডিরেক্টর ও ইন্টারন্যাশনাল স্ট্র্যাটেজিক অ্যাডভাইজার ফাহিম আজহার এবং যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম।

এসময় সাইবার সুরক্ষায় বৈশ্বিক পরিসরে নেতৃত্ব স্তরে যাওয়ার লক্ষ্যে প্রস্তুতি নেওয়ার আহবান জানান আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলক। তিনি বলেন, “বাংলাদেশ সাইবার ওয়েলসের মতো আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সাথে সাইবার সেন্টার ফর এক্সিলেন্স গড়ে তুলবে। এ সকল উদ্যোগ আমাদের দেশে অনলাইন নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।”

আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, “একা কোনো দেশের পক্ষে ক্রমবর্ধমান সাইবার নিরাপত্তা মোকাবেলা করা সম্ভব নয়।আন্তর্জাতিক যোগাযোগের মাধ্যমে সম্মিলিতভাবে এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।”

জুনাইদ আহমেদ পলক আরও বলেন, “আইসিটি বিভাগের ‘বিজিডি ই-গভর্নমেন্ট সার্ট’, বাংলাদেশে সর্বোত্তম সাইবার অনুশীলন নিশ্চিত করতে যুক্তরাজ্যের সাইবার ওয়েলসের সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করছে।”

আইসিটি প্রতিমন্ত্রী একটি সুদৃঢ় ডিজিটাল অর্থনীতি গড়ে তুলতে, সাইবার দক্ষতায় বিনিয়োগ এবং সাইবার ওয়েলসের সাথে শক্তিশালী সাইবার বাণিজ্য সম্পর্ক গড়ে তুলতে, আরও নিবিড়ভাবে বাংলাদেশ ও সাইবার ওয়েলস কাজ করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

অপরদিকে, সাইবার সহযোগিতার বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনায় সন্তোষ প্রকাশ করে সাইবার ওয়েলসের চেয়ারম্যান জন ডেভিস (এমবিই) বলেন, “ইতোমধ্যেই আমরা বাংলাদেশের আইসিটি এবং টেলিকম ইঞ্জিনিয়ারদের মধ্যে ঈর্ষণীয় প্রতিভার স্বাক্ষর পেয়েছি। সাইবার ওয়েলস এমন একটি দেশে সাইবার সক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করার জন্য ন্যূনতম ভূমিকা পালন করতে পেরে গর্বিত। এর মাধ্যমে আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও দীর্ঘস্থায়ী ও গভীর হবে।।”

তিনি বলেন, “আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের নিবিড় তত্ত্বাবধানে রয়েছে ওয়েলসের সাইবার কোম্পানিগুলো। যুক্তরাজ্যের জাতীয় সাইবার প্রোগ্রামের কেন্দ্রে রয়েছে সাইবার ওয়েলস। ফলে আমরা সাইবার সুরক্ষায় একটি ইকোসিস্টেম হিসাবে সর্বোত্তম অনুশীলন ভাগ করে নেওয়ার এবং সহযোগিতা করার চেষ্টা করি৷ এক্ষেত্রে আরও বড় পরিসরের বাংলাদেশের প্রকল্পগুলোতে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার জন্য আমরা সার্বিকভাবে প্রস্তুত।”

হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম বলেন, “এটা আনন্দের বিষয় যে বাংলাদেশ ই-গভ কম্পিউটার ইনসিডেন্ট রেসপন্স টিমের (বিজিডি ই-গভর্নমেন্ট সার্ট) মধ্যে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরের পর থেকে, বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য বন্ধুত্বের ৫০ বছর উপলক্ষে বাংলাদেশের সার্ট এবং সাইবার ওয়েলস যৌথভাবে সাইবার ট্রেড এবং বিনিয়োগ আলোচনা এগিয়ে নিচ্ছে।”

XS
SM
MD
LG