কক্সবাজার সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে, জেলায় ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর মধ্যে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা নেওয়া রোগীর সংখ্যা ১১ হাজার ৫৩৪ জন। আর জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তির রোগীর সংখ্যা ৭১২ জন।
কক্সবাজার সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. মোমিনুর রহমান জানান, “বর্তমানে সদর হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত ৫২ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ পর্যন্ত ভর্তি হওয়া রোগীর সংখ্যা ৭১২ জন। এর মধ্যে স্থানীয় ৫২৬ জন ও রোহিঙ্গা ১৮৬ জন। ভর্তি হওয়া রোগীর মধ্যে ১১ জন মারা গেছে। এর মধ্যে ১০ জন রোহিঙ্গা।”
গত মাসে তানভীর আহমদ (১৪) নামে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রসহ ডেঙ্গু আক্রান্ত পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানান তিনি।
ডা. মো. মোমিনুর রহমান জানান, “বর্ষাকালে নানা স্থানে বৃষ্টির পানি জমে থাকে। একই সঙ্গে সড়কের সংস্কার কাজসহ নালা নর্দমায় পানি জমে ডেঙ্গুবাহী এডিস মশার জন্ম হয়।”
তিনি আরও জানান, “কক্সবাজার পর্যটন এলাকা হওয়ায়, ভ্রমণে আসা অনেক পর্যটক আবাসিক হোটেলে মশারি ব্যবহার না করায় ঝুঁকি বাড়ছে। ডেঙ্গুর জীবানুবহন করে কোনো ব্যক্তি কক্সবাজার এসে রাত্রি যাপন করলে, তাকে কোনো মশা কামড়ানোর পর অন্য ব্যক্তিকে কামড় দিয়ে সংক্রমণ বাড়াচ্ছে।”
সিভিল সার্জন ডা. মাহবুবুর রহমান জানান, “কক্সবাজারে ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ দিন দিন বাড়ছে। এর মধ্যে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ডেঙ্গুর ভয়াবহতা দেখা দিয়েছে। ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীর সংখ্যা ৭১২ জন ও রোহিঙ্গা ক্যাম্পের হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হওয়া রোগীর সংখ্যা ১১ হাজার ৫৩৪ জন। এর মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৩ জন মারা গেছেন। এদের মধ্যে স্থানীয় একজন এবং রোহিঙ্গা ২২ জন।”