অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

রাশিয়ার তেলের মূল্যসীমা নির্ধারণের পরিকল্পনায় অগ্রসর হচ্ছেন জি-সেভেন অর্থমন্ত্রীরা


লন্ডনের ল্যাংকাস্টার হাউজে জি-সেভেন অর্থমন্ত্রীদের বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি সেক্রেটারি জ্যানেট ইয়েলেন (পিছনে ডানে) অংশগ্রহণ করছেন, ৪ জুন ২০২১। (ফাইল ফটো)
লন্ডনের ল্যাংকাস্টার হাউজে জি-সেভেন অর্থমন্ত্রীদের বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি সেক্রেটারি জ্যানেট ইয়েলেন (পিছনে ডানে) অংশগ্রহণ করছেন, ৪ জুন ২০২১। (ফাইল ফটো)

নেতৃস্থানীয় শিল্পোন্নত দেশগুলোর সমন্বয়ে গঠিত, গ্রুপ অফ সেভেন-এর অর্থমন্ত্রীরা শুক্রবার এক নজিরবিহীন পরিকল্পনায় অগ্রসর হতে সম্মত হয়েছেন। ইউক্রেন যুদ্ধের ব্যয় মেটাতে রাশিয়ার তহবিল সীমাবদ্ধ করতে, বৈশ্বিক বাজারে রাশিয়া যে তেল বিক্রি করে তার দামের সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণ করে দেওয়ার পরিকল্পনা করছে এই দেশগুলো।

সর্বোচ্চ মূল্য নির্ধারণের প্রস্তাবটি এমন সময়ে আসল যখন কিনা ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ডিসেম্বরে রাশিয়ার তেল পুরোপুরি নিষিদ্ধ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। ইইউ-র এমন পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে, তা জোটটির অন্তর্ভুক্ত দেশগুলোর কোম্পানীগুলোকে রাশিয়ার তেলবাহী জাহাজের বীমা করতে বা সেগুলোর অর্থায়ন করার উপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে।

যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যে, ইইউ-তে রাশিয়ার তেলের উপর পুরোপুরি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলে এবং একইসাথে বীমা ও অর্থায়নের উপর বিধিনিষেধের মাধ্যমে অতিরিক্ত বাধা সৃষ্টি করা হলে, তা বিশ্ব অর্থনীতিকে একটি মন্দার দিকে ঠেলে দিতে পারে।

তবে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি সেক্রেটারি জ্যানেট ইয়েলেনের প্রস্তাবিত এই মূল্যসীমা ব্যবস্থাটি বাস্তবায়ন হলে, তা ঐ মূল্যে বা তার কমে বিক্রি হওয়া তেলকে নিষেধাজ্ঞার আওতার বাইরে রাখবে।

জ্বালানী বাজার বিশেষজ্ঞরা উল্লেখ করেছেন যে, শুক্রবার জি-সেভেন অর্থমন্ত্রীদের প্রকাশিত বিবৃতিতে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্যের অভাব রয়েছে, এবং এই পরিকল্পনাটি বাস্তবায়ন অত্যন্ত কষ্টসাধ্য একটি কাজ হবে। চীন ও ভারতসহ অনেক বৃহৎ তেল আমদানিকারক দেশই এই ব্যবস্থায় অংশগ্রহণ করতে অনিচ্ছুক হবে। এছাড়াও, যেসব দেশ মূল্যসীমা লঙ্ঘন না করার অঙ্গীকার করবে, তাদের ক্ষেত্রেও তারা তা মানছে কিনা তা পর্যবেক্ষণ করা অত্যন্ত কঠিন এক কাজ হবে।

XS
SM
MD
LG