যুক্তরাষ্ট্রে বাইডেন প্রশাসন এ সপ্তাহে জানিয়েছে, যেসব প্রতিষ্ঠান যুক্তরাষ্ট্রের কম্পিউটার চিপ নির্মাণের সক্ষমতা তৈরির জন্য সরকারী তহবিল গ্রহণ করবে, তারা আগামী দশ বছর চীনে কোন অত্যাধুনিক ফ্যাব্রিকেশন অবকাঠামো তৈরি করতে পারবে না।
গত মাসে বাইডেনের স্বাক্ষরিত চিপস আইনের আওতায় বাণিজ্য অধিদপ্তর ৫ হাজার কোটি ডলার বিতরণের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। মঙ্গলবার হোয়াইট হাউজে বাণিজ্য সচিব জিনা রাইমন্ডো এক বক্তব্যে জানান, চীনে প্রযুক্তি স্থানান্তরের বিষয়ে এই আইনে সুনির্দিষ্ট বিধান রয়েছে।
তিনি জানান, যেসব প্রতিষ্ঠান তহবিল পাবে, তারা চীনে শুধুমাত্র পুরনো বা বহুল ব্যবহৃত প্রযুক্তির কারখানা স্থাপন করতে পারবে।
রাইমন্ডো মহামারির প্রথম বছরে সেমিকন্ডাক্টরের সরবরাহ স্বল্পতার কথা শ্রোতাদের মনে করিয়ে দেন।
তিনি বলেন, ‘এই তহবিলের মাধ্যমে আমরা নিশ্চিত করবো আমেরিকা যেনো আর কখনো এমন কোনো পরিস্থিতিতে না পড়ে, যখন নিজেদের দেশে অত্যাবশ্যক সেমিকন্ডাক্টরের উৎপাদন না হওয়ার কারণে জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়গুলোর লঙ্ঘণ হয় অথবা দেশের গুরুত্বপূর্ণ শিল্পগুলো স্থবির হয়ে পড়ে।’
বাণিজ্য বিভাগের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, আমেরিকা বিশ্বের ২৫ শতাংশ অত্যাধুনিক কম্পিউটার চিপ ব্যবহার করে, কিন্তু উৎপাদন শুন্যের কোঠায়। অত্যাধুনিক চিপ শুধুমাত্র ভোক্তাদের ব্যবহৃত পণ্যে নয়, বরং অস্ত্র ও জাতীয় নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে যুক্ত। এ কারণে ফেডারেল সরকারের আশংকা, সংঘর্ষের মুহুর্তে বৈশ্বিক প্রতিপক্ষরা সরবরাহ আটকে দিতে পারে।
উল্লেখ্য, চিপের একটি বড় অংশ আসে তাইওয়ান থেকে, যে দেশটি ইতোমধ্যে চীনের কাছ থেকে গুরুতর হুমকির মুখে রয়েছে।
এ সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়া হিসেবে মুখপাত্র লিউ পেং জানান, "এই আইনে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর বিনিয়োগ ও বানিজ্যের স্বাভাবিক ধারা ও চীন-আমেরিকার মধ্যে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ে পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্রকে সীমাবদ্ধ করা হয়েছে । এতে আন্তর্জাতিক সেমিকন্ডাক্টর সাপ্লাই চেইন ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিঘ্নিত হবে। চীন এর বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান গ্রহণ করছে"।