আমেরিকানরা যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে ৯/১১ -র ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার ২১ তম বার্ষিকী নীরবতা পালন, নিহতদের স্মরণ, স্বেচ্ছাসেবামূলক এবং অন্যান্য কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছে।
২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর যেখানে ছিনতাই করা জেট বিমানগুলো বিধ্বস্ত হয়েছিল অর্থাৎ নিউইয়র্কের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার, পেন্টাগন এবং পেনসিলভানিয়ার একটি মাঠে রবিবার নিহতদের আত্মীয় এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিরা সমাবেশ করবেন।
গত বছর এটির ২০তম বার্ষিকী ছিল। যুক্তরাষ্ট্রে হামলার প্রতিক্রিয়া হিসেবে শুরু হওয়া আফগানিস্তানে যুদ্ধের বিশৃঙ্খল সমাপ্তির কয়েক সপ্তাহ পরে এটি পালিত হয়েছিল।
১১ সেপ্টেম্বর সেইদিনের ঘটনা স্মরণের একটি উপলক্ষ্য হিসেবে বিবেচিত যা প্রায় ৩ হাজার মানুষকে হত্যা করেছিল, বিশ্বব্যাপী যুক্তরাষ্ট্রের “সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ”কে প্ররোচিত করেছিল এবং যার ফলে জাতীয় নিরাপত্তা নীতি পুনর্বিন্যাস করা হয়েছিল।
কিছু সময়ের জন্য এটি আলোড়ন তুলেছিল। অনেকের মধ্যে জাতীয় গৌরব এবং ঐক্যের অনুভূতির জন্ম দিয়েছিল। অন্যদিকে এর ফলে মুসলিম আমেরিকানরা বছরের পর বছর সন্দেহ ও বিদ্বেষের শিকার হয়; নিরাপত্তা ও নাগরিক স্বাধীনতার মধ্যে ভারসাম্য নিয়ে বিতর্কের জন্ম দেয়। সূক্ষ্মভাবে এবং মোটাদাগে- উভয় উপায়ে ৯/১১ পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহ আমেরিকান রাজনীতি এবং জনজীবনে আজ অবধি প্রভাব বিস্তার করে।
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন পেন্টাগনে বক্তব্য এবং পুষ্পস্তবক অর্পনের পরিকল্পনা করেছেন। ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেনের পেনসিলভানিয়ার শ্যাংক্সভিলে বক্তৃতা করার কথা রয়েছে। সেখানে যাত্রী এবং ক্রু সদস্যরা ককপিটে বাধা তৈরি করার চেষ্টা করার পরে ছিনতাই করা বিমানগুলোর একটি ভূপতিত হয়। ছিনতাইকারীরা তখন বিমানটি নিয়ে ওয়াশিংটনের দিকে রওনা হচ্ছিল। আল-কায়েদার ষড়যন্ত্রকারীরা যাত্রীভর্তি বিমানকে ক্ষেপণাস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করার জন্য জেটগুলোর নিয়ন্ত্রণ দখল করেছিল।