এ সপ্তাহে উজবেকিস্তানে অনুষ্ঠিতব্য সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার (এসসিও) বৈঠককে ঘিরে উৎসাহ-উদ্দীপনা তৈরি হচ্ছে। এই সভায় উপস্থিত নেতাদের মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
সংস্থাটির বর্তমান চেয়ারম্যান ও উজবেকিস্তানের প্রেসিডেন্ট শাভকাত মির্জিয়োয়েভ এই সম্মেলন উপলক্ষে পূর্বে তৈরি করা এক বক্তব্যে জানান, ‘সকল এসসিও সদস্য রাষ্ট্র আমাদের সবচেয়ে কাছের প্রতিবেশী, বন্ধু ও কৌশলগত অংশীদার।’
সংশ্লিষ্টদের প্রত্যাশা, দুই দিনের এই সম্মেলন চলার সময় আলাদা করে বৈঠক করবেন পুতিন ও শি। এই দুই নেতার পাশাপাশি ভারত, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, পাকিস্তান ও তাজিকিস্তানের নেতারাও এই সম্মেলনে অংশ নেবেন।
সংস্থার সদস্যদের মধ্যে একাত্মতা ও এর প্রভাব বাড়ানোর লক্ষ্য হাতে নিয়েছেন মির্জিয়োয়েভ। ‘তিন বছর ধরে চলতে থাকা মহামারিতে বাণিজ্য, অর্থনীতি ও শিল্পখাতের সম্পর্কে অনেক বিঘ্ন তৈরি হয়েছে। এখন এসসিও-র দেশ ও দেশের মানুষদের সরাসরি এক অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে’, বলেন তিনি।
ওয়াশিংটনের কার্নেগি এন্ডাউমেন্টের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও সাবেক উপ-সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইভান ফেইজেনবাউম বলেন, এ ক্ষেত্রে একাত্মতার বিষয়টি অধরাই থেকে গেছে।
তিনি ভয়েস অব আমেরিকাকে বলেন, ‘সংস্থাটি মৌলিক নিরাপত্তার বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করতে যেয়ে ঝামেলার মুখে পড়েছে, কারণ এর সদস্যদের মধ্যে ভারত ও পাকিস্তানের মতো দেশ আছে, যারা একে অপরকে শত্রু মনে করে। একইসঙ্গে এটি আঞ্চলিক অর্থনৈতিক সমন্বয় তৈরির প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিয়ে যেতেও সমস্যায় পড়েছে, কারণ এটি কোন বাণিজ্য জোট নয় কিংবা তহবিল বন্টনের কোন এখতিয়ার নেই এই সংস্থার। সদস্যরা প্রায়ই সুনির্দিষ্ট অবকাঠামো ও উন্নয়ন পরিকল্পনা নিয়ে নিজেদের মধ্যে ঐকমত্যে পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়।’
এবারের সম্মেলনে সবচেয়ে আলোচিত বিষয় হতে পারে ইউক্রেনে রাশিয়ার অভিযান। কাজাখস্তানের মতো কিছু দেশ সরাসরি রাশিয়ার যুদ্ধ নিয়ে তাদের অস্বস্তির কথা জানিয়েছে।