অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

রানী এলিজাবেথের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার জন্য বাইডেন ও বিশ্বনেতারা লন্ডনে সমবেত হয়েছেন


লন্ডনের ওয়েস্টমিনস্টার হলের মঞ্চে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শায়িত রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের কফিন দর্শন করছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন (ডানে), ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২।
লন্ডনের ওয়েস্টমিনস্টার হলের মঞ্চে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শায়িত রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের কফিন দর্শন করছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন (ডানে), ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন এক শোক বইতে স্বাক্ষর করার সময় বাইডেন রানী এলিজাবেথকে “শোভন, সম্মানিত ও সর্বদা সেবায় নিয়োজিত” হিসেবে বর্ণনা করেন। সোমবার ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবিতে রানীর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুষ্ঠিত হবে।

লন্ডনের বাকিংহাম রাজপ্রাসাদের কাছে ল্যাংক্যাস্টার হাউজে এক শোক বইতে তিন মিনিট ধরে প্রেসিডেন্ট বাইডেন এক বার্তা লেখেন। বার্তা লেখার পর বাইডেন বলেন, “ইংল্যান্ডের সকল মানুষের প্রতি, যুক্তরাজ্যের সকল মানুষের প্রতি – আপনাদের জন্য আমাদের সমবেদনা। এবং আপনারা সৌভাগ্যবান ছিলেন যে আপনারা তাকে ৭০ বছর ধরে পেয়েছিলেন। আমরা সকলেই তাই ছিলাম। তার জন্য বিশ্ব আজকে আরও উত্তম [অবস্থায় রয়েছে]।”

তিনি আরও বলেন যে, রানী তাকে তার বিদেহী মায়ের কথা মনে করিয়ে দিত। তিনি বলেন যে, যখন তাদের দেখা হয়, “তখন তিনি [রানী] আমাকে আরও দিতে থাকেন, [এবং] আমার সামনে তিনি যাই দিচ্ছিলেন আমি তাই খেয়ে চলেছিলাম।”

বাইডেন শনিবার দিনশেষে লন্ডনে পৌঁছান। তিনি সহ আরও শত শত বিশ্বনেতা সোমবার অনুষ্ঠিতব্য রানীর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় অংশগ্রহণের জন্য যুক্তরাজ্যে সমবেত হচ্ছেন।

রবিবার বিশ্বনেতারা রানীর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করতে ল্যাংক্যাস্টার হাউজে যান। সে সময়ে মানুষজন সেন্ট্রাল লন্ডনের মধ্যভাগে ঘোরাঘুরি করছিলেন। রানী ৮ সেপ্টেম্বর ৯৬ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন।

ধারণা করা হচ্ছে, বাইডেন ও তার স্ত্রী রবিবার ওয়েস্টমিনস্টার হলে রানীর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। সেখানে বুধবার থেকে রানীর শবদেহ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শায়িত রয়েছে। রানীর স্মরণে আয়োজিত বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠানে ইউরোপের রাজপরিবারগুলোর সদস্যরাও অংশগ্রহণ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। আগত বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের জন্য রাজা রবিবার এক আনুষ্ঠানিক রাষ্ট্রীয় অভ্যর্থনার আয়োজন করবেন।

ব্রিটিশ রাজা অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দিতে সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মেদ বিন সালমানের প্রতিও এক বিতর্কিত আমন্ত্রণ পাঠিয়েছেন। প্রচলিতভাবে ধারণা করা হয়, ২০১৮ সালে সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে হত্যার আদেশ দেওয়ার জন্য বিন সালমানই দায়ী। তবে, তারা রাশিয়া, বেলারুশ, সিরিয়া, আফগানিস্তান ও ভেনেজুয়েলার নেতাদের আমন্ত্রন জানাননি।

XS
SM
MD
LG