সোমবার পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, সাম্প্রতিক মারাত্মক বন্যা এমন একটি বিপর্যয় যা দেশটি কখনো অনুভব করেনি। এই ক্ষতি পুনরুদ্ধারের জন্য কমপক্ষে ৩ হাজার কোটি ডলার খরচ হবে।
মৌসুমী বৃষ্টিপাত জুনের মাঝামাঝি থেকে শুরু হয় এবং আগস্ট মাস পর্যন্ত চলতে থাকে। এর ফলে যে শক্তিশালী বন্যার সূচনা হয়েছিল তা লক্ষ লক্ষ মানুষকে বাস্তুচ্যুত করে এবং ঘরবাড়ি ও জীবিকা ভাসিয়ে নেয়। দেশের এক-তৃতীয়াংশ তলিয়ে যায়; দেড় হাজার জনের বেশি মানুষ নিহত হয়।
ম্যালেরিয়া, টাইফয়েড এবং কলেরার মতো পানিবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দ্বিতীয় বিপর্যয়ের বিষয়ে সতর্ক করেছে।
ইউএস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ইউএসএআইডি) ঘোষণা করেছে যে, তারা জরুরি ত্রাণের জন্য ৫ কোটি ডলারের সহায়তা পাঠাবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ফাঁকে একটি সাক্ষাৎকারে ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেছেন, “প্রচুর” পুনরুদ্ধার ও পুনর্গঠন কার্যক্রম হবে এবং খরচ হবে অনেক বেশি- প্রায় ৩ হাজার কোটি ডলার।
তিনি বলেন, এসব কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে পাকিস্তানের মতো যেসকল দেশ তুলনামূলকভাবে অল্প পরিমাণে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গত করে কিন্তু সবচেয়ে বেশি প্রভাব ভোগ করে এমন দেশগুলোতে জলবায়ু সংকটের প্রভাব হ্রাসের উপায় খুঁজে বের করা।
দেশটি ইতোমধ্যে আর্থিক সংকতের মধ্যে রয়েছে। রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে ইউক্রেনীয় শস্য আমদানি না করতে পারার প্রভাবও দেশটি অনুভব করতে পারছে।
রাশিয়ার ইউক্রেন আগ্রাসনের বিষয়ে পাকিস্তান একটি নিরপেক্ষ অবস্থান নেয়ার চেষ্টা করেছে। ২ মার্চ জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে একটি ভোটে পাকিস্তান ভোট প্রদান করা থেকে বিরত থেকেছে। সেখানে দেশগুলো মস্কোর তার প্রতিবেশীকে আক্রমণের বিষয়টির নিন্দা জানিয়েছে।