অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

যুক্তরাষ্ট্রের আইনপ্রণেতারা রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে হোয়াইট হাউজকে আরও ক্ষমতা দিচ্ছে


রাশিয়ার কোজমিনো বন্দরে একটি ট্যাঙ্কার তেল রপ্তানি টার্মিনালে নোঙ্গর করা হয়েছে। ২৮ ডিসেম্বর, ২০০৯। ফাইল ছবি।
রাশিয়ার কোজমিনো বন্দরে একটি ট্যাঙ্কার তেল রপ্তানি টার্মিনালে নোঙ্গর করা হয়েছে। ২৮ ডিসেম্বর, ২০০৯। ফাইল ছবি।

মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের আইনপ্রণেতারা এই বছরের শুরুতে ইউক্রেনে বিনা উস্কানিতে রাশিয়ার আগ্রাসনের কারণে তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনকে আরও কর্তৃত্ব দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

রিপাবলিকান সেনেটর প্যাট টুমি এবং ডেমোক্র্যাটিক সেনেটর ক্রিস ভ্যান হলেন রুশ তেলের রপ্তানি মূল্য নির্ধারণের জন্য জি-৭ নেতাদের সাথে নিয়ে প্রশাসনের প্রচেষ্টাকে সমর্থন করে একটি কাঠামো প্রবর্তন করেন।

যুক্তরাষ্ট্র এবং জি-৭ মিত্ররা ইউরোপীয় ইউনিয়নের তেল নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার সময় অর্থাৎ ডিসেম্বরের মধ্যে রুশ তেলের মূল্য নির্ধারণে একমত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

কাঠামোটি রুশ তেল ক্রয়ের ওপর নজরদারি করার জন্য আহ্বান জানিয়েছে। এটি বাইডেনকে রুশ তেলের ওপর আরোপিত প্রাইস ক্যাপের সুবিধাভোগী দেশ এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার অনুমতি দেবে।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, রুশ অলিগার্ক এবং রুশ ব্যাংকিং শিল্পের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।

যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্ররা পশ্চিমা ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানগুলোতে রাশিয়ার প্রবেশাধিকারও বন্ধ করে দিয়েছে এবং পুতিনের পরিবারের অনেক সদস্য ও বন্ধুদের বিদেশ ভ্রমণে বাধা দিয়েছে।

রোজেনবার্গ আইনপ্রণেতাদের বলেছেন, প্রাইস কাপের হুমকি যে দেশগুলো দেয়নি, তাদের আচরণ পরিবর্তন করে ইতোমধ্যে বিশ্ববাজারে প্রভাব ফেলছে।

টুমি-ভ্যান হলান কাঠামোটি এই ফেব্রুয়ারি থেকে কংগ্রেসে প্রবর্তিত প্রথম প্রধান দ্বিদলীয় রুশ নিষেধাজ্ঞা আইন হয়ে উঠবে।

XS
SM
MD
LG