প্রশান্ত কুমার হালদারসহ (পিকে হালদার) ১৪ জনের বিরুদ্ধে ৪২৬ কোটি টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্টে প্রায় ছয় হাজার ৮০ কোটি টাকা লেনদেনের মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার একটি বিশেষ জজ আদালতে এই সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে।
ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের আদালত, মামলার বাদী দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী জবানবন্দি দেন। আগামী ১৩ অক্টোবর তাকে জেরা করার তারিখ ধার্য করা হয়েছে। গত ৮ সেপ্টেম্বর এ মামলায় চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।
মামলার অন্য অভিযুক্তরা হলেন; পিকে হালদারের মা লিলাবতী হালদার, পূর্ণিমা রানী হালদার, উত্তম কুমার মিস্ত্রি, অমিতাভ অধিকারী, প্রিতিশ কুমার হালদার, রাজিব সোম, সুব্রত দাস, অনঙ্গ মোহন রায়, স্বপন কুমার মিস্ত্রি, অবন্তিকা, শংখ বেপারী, সুকুমার মৃধা ও অনিন্দিতা মৃধা। শেষ চার জন গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, পিকে হালদার বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা ও অবৈধ কার্যক্রমের মাধ্যমে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ২৭৪ কোটি ৯১ লাখ ৫৫ হাজার ৩৫৫ টাকার অবৈধ সম্পদ নিজ দখলে রেখেছেন।
মামলাটি তদন্ত করে চার্জশিট দাখিল করে দুদক। চার্জশিটে, পিকে হালদারের বিরুদ্ধে অবৈধ উপায়ে প্রায় এক কোটি ১৭ লাখ কানাডিয়ান ডলারের সমপরিমাণ অর্থ দেশটিতে পাচারের অভিযোগ আনা হয়।
২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি, প্রায় ২৭৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে, পিকে হালদারের বিরুদ্ধে দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে এই মামলাদায়ের করেন, দুদকের সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী।
