অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ইরানের নৈতিক পুলিশের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা আরোপ


ফাইল ছবি: ন্যাশনার কাউন্সিলঅফ রেজিস্টেন্স অফ ইরানের একটি সমাবেশে দেশ থেকে বিতাড়িত ইরানিরা জার্মানির বার্লিনে ইরানের দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন। ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২।
ফাইল ছবি: ন্যাশনার কাউন্সিলঅফ রেজিস্টেন্স অফ ইরানের একটি সমাবেশে দেশ থেকে বিতাড়িত ইরানিরা জার্মানির বার্লিনে ইরানের দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন। ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২।

যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগ বৃহস্পতিবার ইরানি নিরাপত্তা ও নৈতিক পুলিশের সাতজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। তাদের বিরুদ্ধে নারীদের, নাগরিক সমাজের এবং শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদকারীদের অধিকার লংঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে।

এই নতুন নিষেধাজ্ঞা লক্ষ্য হচ্ছে ইরানের কুখ্যাত নৈতিক পুলিশ প্রধান মোহাম্মদ রোস্তামি চেশমেহ গাচি এবং তেহরানের জন্য এই বাহিনীর পরিচালক হাজ আহমেদ মিরজেই। একজন ইরানি তরুণী মাহসা আমিনির মৃত্যুর প্রতিবাদের পর মিরজেইকে সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। মাহসাকে তারই তত্ত্বাবধানে আঘাত করা হয়।

২২ বছর বয়সী আমিনিকে ১৬ সেপ্টেম্বর হাসপাতালে মৃত ঘোষণা করা হয়। তার আগে তিন রাত ধরে তিনি তেহরানের একটি নৈতিক আটক কেন্দ্রে বন্দি ছিলেন এবং মাথায় হিজাব না পরার জন্য তার উপর নিপীড়ন চালানো হয় বলে অভিযোগ করা হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় অন্য আর যাঁরা রয়েছেন তাঁরা হচ্ছেন ইরানের গোয়েন্দা বিভাগের মন্ত্রী ঈসমাইল খতিব, বাসিজ বাহিনীর উপ -অধিনায়ক সালার আবনুশ, আইন প্রয়োগ বাহিনীর উপ-অধিনায়ক কাসেম রেজাই , ঐ বাহিনীর প্রাদেশিক বাহিনী মানুশের আমানুল্লাহি এবং ইরানি সেনার স্থলবাহিনীর কমান্ডার কিউমার্স হেইদারি।

ট্রেজারি বিভাগ এক বিবৃতিতে বলেছে, “ এই সব কর্মকর্তা সেই সমস্ত সংগঠনের তদরকি করে যারা শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদকারীদের এবং ইরানের সুশীল সমাজের সদস্যদের, রাজনৈতিক ভিন্ন মতাবলম্বীদের এবং ইরানের বাহা’ই সম্প্রদায়ের লোকজনকে দমন করতে নিয়মিত সহিংসতা চালিয়ে থাকে।

এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় যুক্তরাষ্ট্রে এই সব ইরানি কর্মকর্তাদের সকল ধন-সম্পদ আটক করা হবে এবং যুক্তরাষ্ট্র ও বিদেশে তাদের সঙ্গে আর্থিক লেনেদের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে।

ট্রেজারি বিভাগের ঐ বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “এই নিষেধাজ্ঞার চূড়ান্ত লক্ষ্য শাস্তি দেওয়া নয়, বরঞ্চ তাদের আচরণে ইতিবাচক পরিবর্তন নিয়ে আসা”।

আরও কয়েক ডজন ইরানি কর্মকর্তা , প্রতিষ্ঠান এবং অন্যান্য ব্যক্তি যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছেন । তাঁদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন, পরমাণু অস্ত্র ও মানবাধিকার লংঘন বিষয়ক অভিযোগ রয়েছে।


XS
SM
MD
LG