অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

গণহত্যায় ভূমিকা রাখার জন্য ফেসবুকের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ দাবি করছে রোহিঙ্গারা


একটি আইপ্যাডে ফেসবুকের লোগো দেখা যাচ্ছে, ফিলাডেলফিয়া, ১৬ মে ২০২২। (ফাইল ফটো)
একটি আইপ্যাডে ফেসবুকের লোগো দেখা যাচ্ছে, ফিলাডেলফিয়া, ১৬ মে ২০২২। (ফাইল ফটো)

বর্তমানে মেটা প্ল্যাটফর্মস ইনকরপোরেটেড হিসেবে পরিচিত ফেসবুক অনেক বছর ধরেই এমন কথা বলে আসছিল যে তারা মিয়ানমারে একটি নিরপেক্ষ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করে, যেটিকে বিদ্বেষপরায়ণ মানুষজন অপব্যবহার করেছে এবং সহিংস ও বিদ্বেষমূলক বিষয়বস্তু অপসারণে তাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা সত্ত্বেও, দুর্ভাগ্যজনকভাবে তারা তা পুরোপুরি পারেনি। এমন ব্যাখ্যা বিশ্বজুড়ে অন্যান্য সংঘাতে তাদের ভূমিকার বিষয়ে তাদের প্রতিক্রিয়ারই পুনরাবৃত্তি। এমন ঘটনাগুলোর মধ্যে রয়েছে ২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন বা ভারতে বিদ্বেষমূলক বক্তব্য।

তবে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের এক নতুন ও সামগ্রিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, ফেসবুকের এমন ব্যাখ্যা মিথ্যা। অ্যামনেস্টি বলছে, প্ল্যাটফর্মটি শুধু তাদের কন্টেন্ট অপর্যাপ্তভাবে নিয়ন্ত্রণ করা একটি নিষ্ক্রিয় সাইট নয়। বরং মেটা’র অ্যালগোরিদম ফেসবুকে “কন্টেন্টগুলোকে সক্রিয়ভাবে ছড়িয়ে দেয় ও প্রচার করে”, যার ফলে ২০১২ সাল থেকেই রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সহিংসতার সূত্রপাত হয়।

মেটা’র এক মুখপাত্র অ্যামনেস্টির প্রতিবেদন বিষয়ে প্রশ্নের উত্তর দিতে অস্বীকৃতি জানান। এক বিবৃতিতে কোম্পানীটি বলে যে, তারা “আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি সংহতি জানায় এবং রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে তাতমাদো-র (মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী ) অপরাধগুলোর জন্য তাদের জবাবদিহি করানোর প্রচেষ্টাগুলোকে সমর্থন করে”।

রোহিঙ্গা শরণার্থীরা ক্যালিফোর্নিয়া ভিত্তিক এই কোম্পানীটির কাছ থেকে, গণহত্যা দীর্ঘায়িত করায় তাদের ভূমিকার জন্য অনির্দিষ্ট পরিমাণের ক্ষতিপূরণ পাওয়ার চেষ্টা করছে। মেটা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনেও দুইটি মামলার সম্মুখীন হয়েছে, যেগুলোতে ১৫,০০০ কোটি ডলারের দাবি করা হয়। এখনও পর্যন্ত এমন দাবি প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে।

XS
SM
MD
LG