বাংলাদেশের ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, “তরুণ প্রজন্মকে পঞ্চম শিল্প বিপ্লবে নেতৃত্ব দিতে হবে। এজন্য তাদেরকে ডিজিটাল দক্ষতা অর্জন করতে হবে। আমাদের তরুণ প্রজন্ম খুবই মেধাবী। তাদের হাত ধরেই বাংলাদেশ পঞ্চম শিল্প বিপ্লবের নেতৃত্ব দেবে।”
শনিবার (১ অক্টোবর) রাতে ঢাকায়, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অফ সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) স্টুডেন্টস ফোরাম আয়োজিত, বাংলাদেশে নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ প্রতিযোগিতার সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
টেলিযোগাযোগমন্ত্রী বলেন, “পঞ্চম শিল্পবিপ্লবের মহাসড়ক ফাইভ জি যুগে আমরা প্রবেশ করেছি। আমাদের তরুণদের ফাইভজির প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও ব্যবহার করতে হবে। বাংলাদেশ সামনের দিনে,মেশিন লার্নিং,রোবট কিংবা এআইসহ ডিজিটাল প্রযুক্তি কেবল ব্যবহারই করবে না, উৎপাদন করবে এবং রপ্তানিও করবে।”
মোস্তাফা জব্বার বাংলাদেশের নতুন প্রজন্মকে অত্যন্ত মেধাবী বলে উল্লেখ করেন। বলেন, “মহাকাশ বিজ্ঞানের ছাত্র না হয়েও মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর অপারেশন কাজ আমাদের সন্তানরাই দক্ষতার সঙ্গে পরিচালনা করেছে। উৎক্ষেপণের পর এক মিনিটের জন্যও সমস্যা হয়নি।”
টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, “বাংলাদেশ একটি জনবহুল দেশ। ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির হাত ধরে বাংলাদেশ অগ্রগতির প্রতিটি সূচকে সফলতা অর্জন করেছে।”
মোস্তাফা জব্বার নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ প্রতিযোগিতার আয়োজনকে একটি মাইলফলক কাজ বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, “সাত বছর আগে যে অভিযাত্রা বেসিস শুরু করেছিলো, তা আজ আমাদের সন্তানদের প্রতিভা বিকাশের একটি বড় প্লাটফর্মে রূপান্তরিত হয়েছে।”
যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা আয়োজিত বিশ্বের সবচেয়ে বড় এ হ্যাকাথন প্রতিযোগিতা বিশ্বের ৩১৩টি শহরে একই সময়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জে এবার এক কোটি শিক্ষার্থীকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যুক্ত করার পাশাপাশি, দুই লাখ শিক্ষার্থীকে সরাসরি ও প্রতিযোগিতায় যুক্ত করার পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়।
এই উদ্যোগে, বাংলাদেশের ৯টি শহর থেকে দুই হাজারেরও বেশি প্রতিযোগী অংশ নিয়েছে। সেখান থেকে শীর্ষ ১১০ টি প্রকল্পের মধ্যে হাইব্রিড মডেলে শীর্ষ ৫০টি প্রকল্প নিয়ে ইন্ডিপেন্ডেট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ (আইইউবি)-এ এবং বাকি ৬০ টি প্রকল্প নিয়ে অনলাইনে অনুষ্ঠিত হয় দুই দিনব্যাপী হ্যাকাথন।