অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

মিয়ানমারের উসকানিতে পা দেব না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন


পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন

মিয়ানমারের অভ্যন্তরে যা ঘটছে, তা তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে উল্লেখ করে, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন যে, বাংলাদেশ মিয়ানমারের কোনো উসকানিতে পা দেবে না।

মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের পরিস্থিতি সম্পর্কে তার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা কখনই কোনো উসকানিতে পা দিই না। আমরা ঠাণ্ডা মাথায় পরিস্থিতি মোকাবিলা করছি।”

বাংলাদেশ বিষয়টি জাতিসংঘে উত্থাপন করবে কি-না জানতে চাইলে, ড. মোমেন বলেন, “সম্ভাবনা আছে।” বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, “আমাদের যা করা দরকার আমরা তা করছি।”

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ঢাকায় নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত অং কিয়াও মোকে আগস্ট থেকে বেশ কয়েকবার তলব করে। তিনি তখন বাংলাদেশের ভূখণ্ডে একাধিক মর্টার শেল নিক্ষেপের বিষয়টি ‘স্বীকার করেছেন’। মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত জানিয়েছিলেন যে, যুদ্ধে নিয়োজিত বিদ্রোহীরা ভারি কামান ও মর্টার নিক্ষেপ করেছিল। যার মধ্যে কয়েকটি বাংলাদেশের ভূখণ্ডের অভ্যন্তরে এসে পড়ে।

বাংলাদেশ মিয়ানমারকে জনগণের জীবন ও জীবিকার ক্ষতি করে এমন কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার জন্য আহ্বান জানিয়েছে বলে উল্লেখ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন। তিনি বলেন, “চলমান পরিস্থিতি মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী এলাকায় বসবাসকারী নিরীহ জনগণের মধ্যে ‘ভীতিকর’ পরিবেশ সৃষ্টি করছে।”

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন বলেন যে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে জাতিসংঘে, আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে বাংলাদেশের ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে এবং সবাই একমত যে এটি একটি ‘গুরুতর সমস্যা’ এবং এর সমাধান কেবল প্রত্যাবাসনের মধ্যেই রয়েছে।

জাতিসংঘে বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনার কথা উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, “আমরা শান্তির বার্তা দিয়েছি। আমরা বলেছি আমরা শান্তি চাই। অস্থিতিশীলতা থাকলে সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং তাদের কল্যাণ ব্যাহত হয়।”

“বাংলাদেশ, মিয়ানমার ও চীনের মধ্যে একটি ত্রিপক্ষীয় প্রক্রিয়া চলছে এবং তিন পক্ষই এ পর্যন্ত বেশ কয়েকটি বৈঠক করেছে;” জানান বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন।

XS
SM
MD
LG