কড়া নিরাপত্তার মধ্যে বুধবার সারাদেশে দেবী দূর্গা প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে বাঙালি হিন্দুদের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজা।
হিন্দু বিশ্বাস অনুসারে, দেবী বিসর্জনের মাধ্যমে দেবালয়ের (স্বর্গ) কৈলাসে স্বামীর বাড়িতে ফিরে গিয়েছেন।
উৎসবের শেষ পর্ব দেবীর বিসর্জন দেখতে রাজধানীতে হাজার হাজার মানুষ আজ নগরীর বছিলা এলাকায় বুড়িগঙ্গা নদীতে ভিড় করেছে।
শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা ‘শঙ্খ’, ‘খোল’, ‘ঢাক’এর মতো বাদ্যযন্ত্রের সুরে দুর্গার স্তুতি গাইতে গাইতে প্রতিমা বহনকারী ট্রাক নিয়ে ঘাটে আসে।
পরের বছর দূর্গার প্রত্যাবর্তনের শুভেচ্ছা জানিয়ে ভক্তদের প্রতিমা বিসর্জনের মাধ্যমে দেবী মা ও তার সন্তানদের (লক্ষ্মী, সরস্বতী, কার্তিক ও গণেশ) বিদায় দিতে দেখা গেছে।
চট্টগ্রাম বন্দর নগরীর পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত, কর্ণফুলী নদী, ফিরিঙ্গি বাজার এবং কালুরঘাট ও সীতাকুণ্ডের সলিমপুর সৈকত এলাকায় প্রতিমা বিসর্জন অনুষ্ঠিত হয়।
চট্টগ্রাম মহানগরীর ২৮২টি স্থানে দূর্গাপূজা উদযাপনের আয়োজন করা হয়।
চট্টগ্রাম পূজা উদযাপন পরিষদের নেতারা জানান, জেলার ১৫টি উপজেলায় মোট দুই হাজার ৬২টি মণ্ডপে দূর্গাপূজা উদযাপিত হয়েছে।
উৎসবের শেষ দিন বিজয়া দশমী উদযাপনে মন্ত্র পাঠ, দেবী দূর্গার উদ্দেশে ফুল নিবেদন ও আশীর্বাদ প্রার্থনা করতে সকাল থেকেই দর্শনার্থীরা ভিড় করেছেন পূজা মণ্ডপগুলোতে।
দশমী পূজা উদযাপনের প্রধান আচারের অংশ হিসেবে নারী ভক্তরা শহরের মণ্ডপ ও মন্দিরে দূর্গার পায়ে সিঁদুর নিবেদন করেন, যা ঐতিহ্যবাহী সিঁদুর খেলার অংশ। এই আচারটি দেবী দূর্গার শক্তির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে হিন্দু নারীরা একে অপরের গায়ে সিঁদুর মাখিয়ে জীবনে সমৃদ্ধি কামনা করেন।
বাংলাদেশে এ বছর রাজধানী ঢাকায় ২৪১টিসহ সারা দেশে ছড়িয়ে থাকা প্রায় ৩২ হাজার ১৬৮টি পূজা মণ্ডপে ধর্মীয় উৎসবটি উদযাপিত হয়েছে।
ষষ্ঠী উপলক্ষে ‘বোধন’ এর মধ্যদিয়ে ১ অক্টোবর থেকে পাঁচ দিনব্যাপী উৎসব শুরু হয়।