অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

সংকট নিয়ন্ত্রণে ও দূর্নীতির বিচার করতে শ্রীলঙ্কার প্রতি আহ্বান জাতিসংঘের


শ্রীলঙ্কার কলম্বোয় সরকারবিরোধী বিক্ষোভে অংশগ্রহণের সময়ে প্রতিবাদকারীরা হাতে প্ল্যাকার্ড ধরে আছেন, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২। (ফাইল ফটো)
শ্রীলঙ্কার কলম্বোয় সরকারবিরোধী বিক্ষোভে অংশগ্রহণের সময়ে প্রতিবাদকারীরা হাতে প্ল্যাকার্ড ধরে আছেন, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২। (ফাইল ফটো)

জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদে বৃহস্পতিবার পাস হওয়া এক প্রস্তাবে, শ্রীলঙ্কার প্রতি আহ্বান জানানো হয় যে, দেশটি যেন তাদের অর্থনৈতিক সংকটে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে এবং সরকারি কর্মকর্তাদের দুর্নীতির বিচার করে।

জাতিসংঘের সর্বোচ্চ এই অধিকার সংস্থাটি, দক্ষিণ এশিয়ার এই দ্বীপরাষ্ট্রকে মনোযোগের কেন্দ্রে রাখার পক্ষে ২০-৭ ভোটে সিন্ধান্ত নেয়। শ্রীলঙ্কার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলী সাবরি জেনেভায় অবস্থিত এই পরিষদকে বলেন যে, কলম্বো এই প্রস্তাবকে “স্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান” করছে।

প্রস্তাবে, শ্রীলঙ্কার সরকারের প্রতি চলমান অর্থনৈতিক সংকট নিরসনে উদ্যোগ নেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

এছাড়া, বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তাদের দূর্নীতির তদন্ত, নিশ্চিত ক্ষেত্রে তাদের বিচার করারা আহবান জানানো হয়েছে ঐ প্রস্তাবে।

মানবাধিকারের উপর অর্থনৈতিক সংকটের প্রভাব ও শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদকারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতার বিষয়ে পরিষদ উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। একইসাথে সকল অধিকার লঙ্ঘন ও নির্যাতনের জন্য একটি “সামগ্রিক জবাবদিহিতার প্রক্রিয়া” প্রতিষ্ঠার বিষয়েও আহ্বান জানায়।

৩৭টি দেশ ১৯ দফার এই উত্থাপন করে। দেশগুলোর মধ্যে বেশিরভাগই ইউরোপীয়।

সাবরি জেনেভায় শ্রীলংকার বিষয়ে প্রতি-সদস্যের ভোট প্রক্রিয়ায় না যাওয়ার জন্য যুক্তি তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, “আমরা জোরালোভাবে প্রতিবাদ জানাই।” প্রস্তাবটিকে তিনি বিভ্রান্তিকর বলে উল্লেখ করে বলেন, “এই প্রস্তাব শ্রীলঙ্কায় যে প্রাতিষ্ঠানিক ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা পুনঃস্থাপিত হয়েছে, তাকে উপেক্ষা করেছে।”

আর্জেন্টিনা, ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানী, মেক্সিকো, দক্ষিণ কোরিয়া, ইউক্রেন ও যুক্তরাষ্ট্র এই প্রস্তাবকে সমর্থন করেছে।

বিপক্ষে ভোট দেওয়া দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে চীন, কিউবা, ইরিত্রিয়া ও পাকিস্তান।

৪৭ সদস্যের পরিষদে বিশটি দেশ ভোটদানে বিরত থাকে। এসব দেশের মধ্যে রয়েছে, ব্রাজিল, ভারত, ইন্দোনেশিয়া ও জাপান।

প্রস্তাবে শ্রীলঙ্কার প্রতি এই আহ্বানও জানানো হয়, যাতে তারা এমন পরিবেশ নিশ্চিত করে “যেখানে সুশীল সমাজ কোন বাধা, নজরদারি, নিরাপত্তাহীনতা ও প্রতিশোধের হুমকি ছাড়া স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে।”

প্রস্তাবে জাতিসংঘের অধিকার দফতরের প্রতি আহবান জানানো হয়, মাবাধিকার কাউন্সিল যেন পরিস্থিতির ওপর প্রতিবেদন প্রণয়ন জোরদার করে এবং মানবাধিকার কাউন্সিলের আগামী বৈঠকে যেন মৌখিক ও লিখিত হালনাগাদ তথ্যের ভিত্তিতে প্রণিত প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়।


XS
SM
MD
LG