অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ওপেকের তেল উৎপাদন হ্রাসের পরিকল্পনায় হতাশা প্রকাশ করেছেন বাইডেন


প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ২০২২ সালের ২৬ আগস্ট ওয়াশিংটনে হোয়াইট হাউজের রুজভেল্ট কক্ষে বক্তব্য রাখছেন। ২০২২ সালের ৬ অক্টোবর প্রেসিডেন্ট বলেন, ওপেক প্লাসের তেল উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা হ্রাসের ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্র বিকল্প খুঁজছে। ফাইল ছবি।
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ২০২২ সালের ২৬ আগস্ট ওয়াশিংটনে হোয়াইট হাউজের রুজভেল্ট কক্ষে বক্তব্য রাখছেন। ২০২২ সালের ৬ অক্টোবর প্রেসিডেন্ট বলেন, ওপেক প্লাসের তেল উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা হ্রাসের ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্র বিকল্প খুঁজছে। ফাইল ছবি।

ওপেক প্লাস দেশগুলো প্রতিদিন তেল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ২০ লক্ষ ব্যারেলে কমিয়ে আনতে চাওয়ায়, বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন হতাশা প্রকাশ করেছেন। তবে তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের কাছে বিকল্প রয়েছে এবং তারা সেগুলো অন্বেষণ করছে।

রাশিয়া, অন্যান্য তেল উৎপাদকারী দেশ এবং অর্গানাইজেশন অফ পেট্রোলিয়াম এক্সপোর্টিং কান্ট্রিজের তেল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা কমানোর বুধবারের সিদ্ধান্ত, মস্কোকে ইউক্রেনে তার যুদ্ধের অর্থায়নে সহায়তা করতে পারে। এছাড়া এই সিদ্ধান্ত, পরের মাসে যুক্তরাষ্ট্রব্যাপী অনুষ্ঠেয় কংগ্রেসের নির্বাচনের আগে, আমেরিকার গাড়ি চালকদের জন্য জ্বালানির দাম আরও কমানোর জন্য বাইডেনের হাতে সে সুযোগ ছিল, সেই সুযোগকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।

বিরোধী রিপাবলিকানরা জ্বালানি তেলের উচ্চ মূল্যের জন্য বাইডেন এবং সহকর্মী ডেমোক্র্যাটদেরকে দায়ী করেছে। তারা কংগ্রেসের একটি বা উভয় কক্ষে ডেমোক্র্যাটদের কাছ থেকে নিয়ন্ত্রণ কেড়ে নেওয়ার জন্য লড়ছে।


জুলাইয়ের মধ্যপ্রাচ্য সফরে বাইডেন, তেলের মূল্য যাতে না বাড়ে সেজন্য উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্ত না নিতে, এমনকি তেলের মূল্য স্থিতিশীল রাখতে, বৈশ্বিক অপরিশোধিত তেলের বাজারে সরবাহ বৃদ্ধির জন্য সৌদি আরবকে চাপ দিয়েছিলেন। গাড়িচালকরা জ্বালানি স্টেশনগুলোতে পেট্রোলের জন্য যে মূল্য পরিশোধ করে, তা অপরিশোধিত তেলের মূল্যের সাথে সরাসরি সম্পর্কযুক্ত। উল্লেখ্য, সৌদি আরব যুক্তরাষ্ট্রের পরে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম তেল উৎপাদনকারী দেশ।

বাইডেন অবশ্য বলেন, সৌদি নেতাদের সাথে সাক্ষাতের জন্য রিয়াদে তার যাত্রাবিরতি নিয়ে তিনি অনুতপ্ত নন।

২৩টি দেশের ওপেক প্লাস জোট বলেছে,নভেম্বর থেকে প্রতিদিনের উৎপাদন ৪ কোটি ৩৮ লাখ ব্যারেল থেকে ৪ কোটি ১৮ লাখ ব্যারেলে কমিয়ে আনা হবে। ২০২০ সালের মার্চ মাসে করোনা ভাইরাস মহামারী শুরু হওয়ার পর, প্রথমবারের মতো ওপেক তেল উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা হ্রাস করেছে। যদিও তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর জোট এই বছর তাদের লক্ষ্যমাত্রা দিনে ৩০ লাখ ব্যারেল কমিয়েছে।

XS
SM
MD
LG