অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

বিক্ষোভ, ধর্মঘটে নেতাদের উপর চাপ অব্যাহত রেখেছেন ইরানীরা


মাহসা আমিনির মৃত্যুর প্রতিক্রিয়ায় বিক্ষোভের সময় পুলিশের একটি মোটরসাইকেল আগুনে পুড়তে দেখা যাচ্ছে, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২২। আমিনি ইরানের রাজধানী তেহরানে, ইরানের “নৈতিকতা-পুলিশ” এর হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর মৃত্যুবরণ করেন। (রয়টার্সের মাধ্যমে ওয়েস্ট এশিয়া নিউজ এজেন্সি হতে প্রাপ্ত ছবি)
মাহসা আমিনির মৃত্যুর প্রতিক্রিয়ায় বিক্ষোভের সময় পুলিশের একটি মোটরসাইকেল আগুনে পুড়তে দেখা যাচ্ছে, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২২। আমিনি ইরানের রাজধানী তেহরানে, ইরানের “নৈতিকতা-পুলিশ” এর হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর মৃত্যুবরণ করেন। (রয়টার্সের মাধ্যমে ওয়েস্ট এশিয়া নিউজ এজেন্সি হতে প্রাপ্ত ছবি)

পুলিশি হেফাজতে এক তরুণীর মৃত্যুতে বিক্ষুব্ধ ইরানীরা শনিবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস উপেক্ষা করে প্রতিবাদ অব্যহত রেখেছেন বলে জানিয়েছে একটি মানবাধিকার গোষ্ঠি। তারা বলেছে, দেশটির ধর্মীয় শাসকগণ একটি বিরতিহীন গণ-অভূত্থানের চাপের মুখে পড়েছেন।

ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম ‍শুক্রবার জানিয়েছে, একজন মরদেহ পরীক্ষক তার তদন্ত প্রতিবেদনে, মাহসা আমিনি পুলিশি হেফাজতে থাকাকালীন তার মাথায় ও অঙ্গপ্রত্যঙ্গে আঘাতের কারণে মৃত্যুবরণ করেছেন, এমন দাবি নাকচ করে দিয়েছেন। ঐ মরদেহ পরীক্ষক বলেছেন যে, আমিনির মৃত্যু, আগে থেকে বিদ্যমান অসুস্থতার সাথে সম্পর্কিত।

২২ বছর বয়সী আমিনি একজন ইরানী কুর্দি। তার মৃত্যু দেশব্যাপী বিক্ষোভের সূত্রপাত ঘটায়। এই বিক্ষোভ কয়েক বছরের মধ্যে ইরানের ধর্মীয় নেতাদের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে।

একদিকে ধর্ম শাসন-প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের প্রকাশ হিসেবে নারীরা তাদের হিজাব খুলে ফেলছেন। অন্যদিকে সমবেত জনতা সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লাহ আলী খামেনির পতনের আহ্বান জানিয়েছে।

শনিবার গণবিক্ষোভের ডাক দেওয়া হলে, সানানডাজ ও সাকেজ নামের কুর্দি শহর দুইটিতে নিরাপত্তা বাহিনী বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি চালায় ও কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করে। ইরানের মানবাধিকার গোষ্ঠী হেনগ্য এই তথ্য জানিয়েছে।

হেনগ্য জানায় সাকেজ, দিওয়ানদারেহ, মাহাবাদ ও সানানডাজ-এ ব্যাপক ধর্মঘট পালিত হচ্ছে।

অধিকার গোষ্ঠীটি আরও জানায়, সাকেজ শহরের চত্ত্বরে অবস্থিত একটি বিদ্যালয় স্কুলপড়ুয়া মেয়েদের দিয়ে পূর্ণ ছিল। এই মেয়েরা সেখানে “নারী, জীবন, স্বাধীনতা” বলে স্লোগান দিচ্ছিলেন।

হেনগ্য শনিবার জানায়, দুইটি কুর্দি শহরে ইরানের নিরাপত্তা বাহিনী দমনপীড়ন শুরু করেছে।

হেনগ্য আরও জানায়, “সানানডাজ ও সাকেজ-এ নিরাপত্তা বাহিনী বিক্ষোভকারীদের উপর গুলি চালাচ্ছে। আর, দাঙ্গা-পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ওপর কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করছে।”
উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের কুর্দি শহর দুইটিতে বিক্ষোভকারীদের উপর গুলি চালানোর ঘটনাগুলো সম্পর্কে, বহুল প্রচারিত তাসভির১৫০০ টুইটার অ্যাকাউন্টটিতেও জানানো হয়।

অধিকার গোষ্ঠীগুলো বলছে ১৫০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন, শত শত মানুষ আহত হয়েছেন, এবং বিক্ষোভ দমনে নিয়োজিত নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে হাজার হাজার মানুষ গ্রেফতার হয়েছেন।

XS
SM
MD
LG