চীন থেকে আমদানি করার পর, অচল হয়ে যাওয়া ডেমু ট্রেন, অল্প খরচে সম্পূর্ণ স্থানীয় প্রযুক্তিতে সচল করলো বাংলাদেশের প্রকৌশলীরা। রবিবার ( ৯ অক্টোবর) একটি ডেমু ট্রেন যাত্রীসহ পণ্য পরিবহন শুরু করেছে। দিনাজপুরের পাবর্তীপুর রেলওয়ে স্টেশনে ডেমু ট্রেনের চলাচল উদ্বোধন করেছেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন।
রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন জানান, অচল আরও ১৪ টি ডেমু ট্রেন চলতি বছরের মধ্যে সচল করতে ব্যবস্থা নিয়েছে রেলওয়ে বিভাগ। তিনি বলেন, “শত কোটি নয়, অর্ধশত কোটির চেয়ে কম খরচে ডেমু ট্রেনগুলো সচল করা যাবে।”
প্রায় সাড়ে ৬শ’ কোটি টাকা ব্যয়ে, ২০১৩ সালে চীন থেকে আমদানি করা হয়েছিল ২০টি ডেমু ট্রেন। ওয়ারেন্টির নির্ধারিত সময়ের আগে, ২০২০ সালের মধ্যে একে একে অচল হয়ে পড়ে সবক'টি ডেমু ট্রেন। ডেমু ট্রেনগুলো মেরামত করে সচল করতে মোটা অংকের টাকা দাবি করেছিল সরবরাহকারি প্রতিষ্ঠান। ফলে এগুলো অচল হয়ে পড়ে ছিল বিভিন্ন স্থানে।
মেরামতের আমন্ত্রণ পেয়ে চীনা প্রযুক্তি সরিয়ে, স্থানীয় কাঁচামাল ও যন্ত্রাংশ ব্যবহার করে ডেমু ট্রেনটি পাবর্তীপুরের কেন্দ্রীয় লোকোমোটিভ কারখানায় সচল করেছেন প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান ও তার সহযোগী প্রকৌশলীরা। অচল আরও ১৪টি ডেমু ট্রেন দ্রুত সচল করতে পারবেন বলে আশা করছেন তারা।
উদ্বোধনের পর, ডেমু ট্রেনটি পাবর্তীপুরের খোলাহাটি স্টেশন পর্যন্ত চালানো হয়। এ সময় আরোহী হন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন, স্থানীয় এমপি মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার এবং রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। এসময় ট্রেনের গতি ছিল ঘন্টায় ৬০ কিলোমিটার। পরে, বিকাল ৫ টা ২০ মিনিটে রংপুরের উদ্দেশে যাত্রী নিয়ে স্টেশন ছেড়ে গেছে ডেমু ট্রেনটি।
সচল হওয়া ডেমু ট্রেনটি দিনাজপুরের পাবর্তীপুর স্টেশন থেকে দৈনিক বিকাল সোয়া ৫ টায় ছেড়ে রংপুর স্টেশন পর্যন্ত যাত্রী পরিবহন করবে। বিকাল ৬টা ২০ মিনিটে রংপুর থেকে ছেড়ে, সন্ধ্যা ৭ টার দিকে পাবর্তীপুর ফিরে যাবে এই ডেমু ট্রেন। বাকীগুলো সচল করার পর বিভন্ন রুটে যাত্রী ও মালামাল পরিবহনের কাজে লাগানো হবে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।