অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ছুটি শেষে কর্মস্থলে ফিরছে মানুষ, দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে তিন কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট


ছুটি শেষে কর্মস্থলে ফিরছে মানুষ, দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে তিন কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট।
ছুটি শেষে কর্মস্থলে ফিরছে মানুষ, দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে তিন কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট।

বাংলাদেশের রাজবাড়ী জেলার দৌলতদিয়া ঘাটে নদী পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে কয়েকশ’ গাড়ি। পূজা, সাপ্তাহিক ছুটি ও ঈদে মিলাদুন্নবীর ছুটি শেষে মানুষ কর্মস্থলে ফিরছেন। এ করাণে হঠাৎ যানবাননের চাপ বেড়েছে এই ফেরি ঘাটে।

ফেরি ঘাট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের দৌলতদিয়া ক্যানাল ঘাট ছাড়িয়ে, অন্তত তিন কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়েছে। গড়িগুলোকে দুই থেকে তিন ঘন্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে ফেরি পারাপারের জন্য।

রবিবার (৯ অক্টোবর) দুপুর থেকেই দৌলতদিয়া প্রান্তে ঢাকামুখী যানবাহনের চাপ বাড়তে থাকে। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল থেকে ছেড়ে আসা ঢাকামুখী যাত্রীবাহী বাসের পাশাপাশি, বিভিন্ন ধরনের গাড়ির কারণে চাপ বাড়ে। এছাড়া, পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে ফরিদপুরের আটরশিতে আসা গাড়ি ফিরতে শুরু করায় বাড়তি চাপ তৈরি হয়।

অন্যদিকে, শারদীয় দূর্গাপূজাসহ সাপ্তাহিক ছুটিতে থাকা অনেকে কর্মস্থলে ফিরছেন। ঐ সব গাড়ির চাপও রয়েছে। পদ্মা সেতু চালুর পর এই প্রথম দৌলতদিয়ায় এমন যানজট সৃষ্টি হয়েছে।

দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ১৬টি ফেরির মধ্যে চলাচল করছে ১০টি। এর মধ্যে, ৫টি রো রো (বড়), ৪টি ইউটিলিটি (ছোট) এবং ১টি কে-টাইপ ফেরি চালু রয়েছে। অবশিষ্ট ফেরি পাটুরিয়ার ভাসমান কারখানা মধুমতিতে রাখা হয়েছে।

এছাড়া, দৌলতদিয়া প্রান্তে ৭টি ঘাটের মধ্যে এখন সচল রয়েছে ৪টি। নাব্যত কমতে থাকায় ৭নম্বর ঘাটের একটি পকেট বন্ধ রয়েছে। সংস্কার কাজের কারণে রবিবার সকাল থেকে পকেটটি বন্ধ রাখা হয়েছে। ৬ নম্বর ঘাটটি ইউটিলিটি (ছোট) ফেরির জন্য নির্ধারিত। সবচেয়ে ব্যস্ততম এবং বড় ৫ নম্বর ঘাট নদী ভাঙনের কবলে পড়ায়, ৬ সেপ্টেম্বর থেকে বন্ধ রয়েছে। ৪নম্বর ঘাট শুধুমাত্র ভিআইপি ফেরির জন্য সচল করা হয়। ৩ নম্বর ঘাটটি শনিবার সারাদিন যান্ত্রিক সমস্যায় বন্ধ ছিল। বাকি ১ এবং ২ নম্বর ফেরি ঘাট ২০১৯ সালে ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে। পরে সংস্কার করলেও ঘাট দুটি চালু হয়নি। এমন পরিস্থিতিতে হঠাৎ গাড়ির চাপ বাড়ায় এই যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।

দৌলতদিয়া ঘাট পরিবহন শ্রমিক নেতা মো. রানা শেখ বলেন, “দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ফেরি সংখ্যা বেশি থাকলেও, গাড়ির স্বল্পতায় সবকটি ফেরি চালু করা হয় না। পূজা, সাপ্তাহিক ছুটি ও ঈদে মিলাদুন্নবীর ছুটিতে অধিকাংশ কর্মজীবী মানুষ গ্রামের বাড়িতে গেছেন। ছুটি কাটিয়ে তারা কর্মস্থলে ফেরা শুরু করলে শনিবার রাত থেকে দৌলতদিয়া এবং পাটুরিয়া ঘাটে গাড়ির চাপ বাড়তে থাকে। সবকটি ফেরি চালু না করায়,দৌলতদিয়া প্রান্তে গাড়ির লম্বা লাইন তৈরি হয়েছে।”

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীন নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মো. সালাহ উদ্দিন বলেন, “দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ছোট-বড় মিলে ১৬টি ফেরি রয়েছে। যানবাহনের চাপ না থাকায় মাত্র ১০টি ফেরি চালু রেখে বাকিগুলো পাটুরিয়ার ভাসমান কারখানায় বসিয়ে রাখা হয়। রবিবার দুপুর থেকে ছুটি ও ঈদে মিলাদুন্নবীর কারণে চাপ বাড়তে থাকায়, গাড়ির লম্বা লাইন তৈরি হয়েছে।”

XS
SM
MD
LG