অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছে আফগানিস্তান, ভেনেজুয়েলা


জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ

৪৭ সদস্যবিশিষ্ট মানবাধিকার পরিষদে (এইচআরসি) ১৪টি নতুন দেশকে অন্তর্ভুক্ত করতে মঙ্গলবার ভোট দিবে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ। এসব পদপ্রার্থীর মধ্যে মানবাধিকারে খারাপ রেকর্ড সম্বলিত কিছু দেশও রয়েছে। এমন দুইটি দেশ হল আফগানিস্তান ও ভেনেজুয়েলা।

পাঁচটি আঞ্চলিক গ্রুপ থেকে সতেরটি প্রার্থী দেশ প্রতিযোগিতা করছে। তবে মাত্র দুইটি গ্রুপেই প্রকৃতপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে – এশিয়া-প্যাসিফিক এবং লাতিন আমেরিকা ও ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জ। অন্য তিনটি গ্রপে “ক্লিন স্লেট” থাকবে। তবে, সেসব দেশকেও জেনেভাভিত্তিক এই পরিষদের একটি আসনের জন্য গোপন ব্যালটের ভোটের মাধ্যমে সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করতে হবে।

প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ গ্রুপগুলোর একটিতে ভেনেজুয়েলা রয়েছে। খালি দুইটি আসনের জন্য দেশটি চিলি ও কোস্টারিকার মুখোমুখি হবে।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচে জাতিসংঘের পরিচালক, লুই শাহবোনো এক বিবৃতিতে বলেন, “সরকারের সমালোচনাকারীদের বিরুদ্ধে ভেনেজুয়েলার প্রতিশোধমূলক আক্রমণ, দেশটিকে জাতিসংঘের সর্বোচ্চ অধিকার সংস্থাটিতে সদস্যপদের জন্য অযোগ্য করে। এই অত্যাচারী দেশটিকে এই পরিষদে ফিরিয়ে আনলে, তা ভেনেজুয়েলার কর্তৃপক্ষকে নিজের জনগণের উপর নির্মমতা চালিয়ে অন্য দেশের মানবাধিকার বিচার করার ভূমিকা দিয়ে, জাতিসংঘের বিশ্বাসযোগ্যতার অবমূল্যায়ন করবে।”

সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের এক অনুসন্ধানী মিশন প্রতিবেদনে বলে, প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর গোয়েন্দা সংস্থা নির্বিচার আটক ও নির্যাতনের মাধ্যমে দেশটির বিরোধীদলকে দমন করেছে, যা যুদ্ধাপরাধের শামিল। শুক্রবার, মানবাধিকার পরিষদ মিশনটির মেয়াদ আরও দুই বছর বাড়ায়।

মাদুরো সরকার অভিযোগগুলোকে “মিথ্যা ও ভিত্তিহীন” বলে প্রত্যাখ্যান করেছে।

আরেক বিতর্কিত প্রার্থী হল আফগানিস্তান, যারা নারী, মেয়ে ও সংখ্যালঘুদের প্রতি তালিবানের অন্যায় আচরণ এবং ব্যক্তি স্বাধীনতার উপর ব্যাপক দমনের কারণে গত এক বছর ধরে শিরোনামে আছে।

তবে, আফগানিস্তান প্রকৃতপক্ষে তালিবান নিয়ন্ত্রণে থাকলেও, জাতিসংঘে তাদের আসনটি এখনও বিগত সরকারের হাতেই রয়েছে। এর বড় একটি কারণ হল যে, কোন দেশই এখনও তালিবান শাসকদের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয়নি। নির্বাচিত হলে, বিগত সরকারের অনুগত আগে থেকেই থেকে যাওয়া কূটনীতিকগণ এইচআরসি-র আসনটি গ্রহণ করবেন।

আঞ্চলিক গ্রুপে চারটি খালি আসনের জন্য আফগানিস্তান ছাড়া বাকি প্রার্থীরা হল বাংলাদেশ, কিরগিজস্তান, মালদ্বীপ, দক্ষিণ কোরিয়া ও ভিয়েতনাম।

XS
SM
MD
LG