চর গোরক মন্ডল এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) দুই হাজার ২০০ জিও ব্যাগ দিয়ে মাত্র ৩০০ গজ এলাকায় সাময়িকভাবে ভাঙন রোধ করেছে। ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে, চর গোরক মন্ডল গ্রামটি নদীতে বিলীন হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
চর গোরক মন্ডল এলাকার বাসিন্দ আজিজুল ইসলাম ও মাইদুল ইসলাম জানান, বর্ষা মৌসুমের শুরু থেকে এই এলাকায় নদীভাঙন শুরু হয়। গত তিন মাসে অর্ধশতাধিক পরিবার গৃহহীন হয়েছে। ভুট্টা, আখসহ বিভিন্ন ফসলি জমি, গাছপালাসহ বাগান ও বাঁশঝাড় নদীতে বিলীন হয়েছে। গত সপ্তাহে ধরলার ভাঙন তীব্র হয়েছে। এর ফলে, আট থেকে ১০টি পরিবাবের ঘর এবং এলাকার একমাত্র সড়কটির বড় অংশ নদীতে চলে গেল।”
বড়ভিটা ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য ইলিয়াস হোসেন বলেন, “আমার এলাকায় ধরলা নদীর দুই পাড়ে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। ধরলার পূর্ব পাড়ে দুই কিলোমিটার জুড়ে ভাঙনরোধে কাজ করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। তবে তেমন ফল পাওয়া যাচ্ছে না।”
নাওডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাছেন আলী জানান, চর গোরক মন্ডল এলাকার নদীভাঙন উদ্বেগজনক। ভাঙন প্রতিরোধে ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে, স্থানীয় সংসদ সদস্যের সুপারিশসহ কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডে আবেদন করা হয়েছে। এর পর,পানি উন্নয়ন বোর্ড আড়াই হাজারের মতো জিও ব্যাগ বরাদ্দ করেছে।”
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, “আমরা ভাঙন প্রবণ বিভিন্ন এলাকায়র খোঁজখবর রাখছি। চর গোরক মন্ডল এলাকায় ভাঙন দেখা দেওয়ায়, দ্রুত প্রতিরোধের জন্য উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।”