ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা সত্ত্বেও, মাহসা আমিনির মৃত্যুর প্রতিক্রিয়ায় শনিবার আবারও বিক্ষোভকারীরা ইরান জুড়ে রাস্তায় নামবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। পুলিশী হেফাজতে আমিনির মৃত্যুতে ক্ষোভের ফলে আরম্ভ হওয়া এই প্রতিবাদ আন্দোলনটি পঞ্চম সপ্তাহে প্রবেশ করেছে।
ইরানের কুখ্যাত নৈতিকতা পুলিশের হাতে গ্রেফতারের তিনদিন পর, ১৬ সেপ্টেম্বর আমিনির মুত্যু হয়। তার মৃত্যুতে ইরানে গত অনেক বছরের মধ্যে রাস্তায় সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ ও সহিংসতার সূত্রপাত হয়েছে।
তরুণীরা বিক্ষোভের একেবারে সামনের সারিতে থেকেছেন। তারা সরকারবিরোধী স্লোগান দেন, নিজেদের হিজাব খুলে পুড়িয়ে ফেলেন ও রাস্তায় নিরাপত্তা বাহিনীর মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড়ান।
অনলাইন নজরদারি প্রতিষ্ঠান নেটব্লকস, শনিবার সকাল প্রায় ১০:০০টা (০৬৩০ জিএমটি) থেকে “#ইরানে ইন্টারনেট ট্রাফিক নতুন করে গুরুতরভাবে ব্যাহত” হওয়ার খবর জানিয়েছে।
তবে ইন্সটাগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপের মত প্ল্যাটফর্মগুলো সহ ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ হওয়া সত্ত্বেও, সক্রিয়কর্মীরা শনিবার বিক্ষোভে বিপুল জনসমাগমের জন্য অনলাইনে অনুরোধ জানায়। তারা এর জন্য “সমাপ্তির শুরু” বলে একটি স্লোগান ব্যবহার করেছে।
তারা ইরান জুড়ে মানুষজনকে এমন সব স্থানে একত্রিত হতে আহ্বান জানায়, যেসব জায়গায় নিরাপত্তা বাহিনীর উপস্থিতি নেই। এছাড়াও “স্বৈরশাসকের মৃত্যু চাই” বলে স্লোগান দিতেও আহ্বান করা হয়েছে। এর মাধ্যমে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লাহ আলী খামেনিকে নির্দেশ করা হয়েছে।
নতুন করে বিক্ষোভের আহ্বানের জবাবে, ইরানের বিপ্লবী সংগঠনগুলোর প্রধান একটি অঙ্গ সংগঠন, দ্য ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট কোঅর্ডিনেশন কাউন্সিল, মানুষজনের প্রতি অনুরোধ করেছেন যাতে তারা “রাষ্ট্রদ্রোহ ও দাঙ্গাকারীদের বিরুদ্ধে তাদের বিপ্লবী ক্ষোভ প্রকাশ করে”।
এছাড়াও শার্ঘ পত্রিকার এক সংবাদকর্মীর তথ্যমতে, এই সপ্তাহে ইসলামিক রেভোল্যুশনারি গার্ড কোর-এর “অবসরপ্রাপ্তদের” প্রতিও আহ্বান জানানো হয়েছে, যাতে “বর্তমান সংবেদনশীল পরিস্থিতি” বিবেচনায় শনিবার তারাও সমবেত হন।