ইরানের একজন মানবাধিকার কর্মী ভয়েস অফ আমেরিকার ফার্সি বিভাগকে বলেছেন, তার সূত্র অনুসারে, শনিবার তেহরানের এভিন কারাগারের কর্তৃপক্ষ সেখানকার মারাত্মক অগ্নিকাণ্ডের সময় আগুন এবং ধোঁয়া থেকে পালিয়ে আসা বন্দিদের ওপর গুলি করেছে।
ইরানে বসবাসরত নাগরিক ও মানবাধিকার কর্মী পৌরান নাজেমি বলেছেন, “সরকারের যা কিছু আমরা দেখি তা কেবল বিপর্যয়।” তেহরান থেকে তার মন্তব্যের তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
ইরান বলেছে, অগ্নিকাণ্ডে ৮ জন নিহত হয়েছে, তবে নাজেমি বলেছেন যে সংখ্যাটি এখনো অজানা কারণ “বেশ কয়েকটি হাসপাতাল সতর্ক রয়েছে” এবং সরকারি বাহিনী “তাদের সামনে দাঁড়িয়ে আছে এবং কাউকে যেতে দিচ্ছে না।”
উক্ত মানবাধিকার কর্মীর মতে, অনেক বন্দি এখনো তাদের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করতে পারেননি।
হিজাব দিয়ে সঠিকভাবে চুল ঢেকে রাখতে না পারায় দেশটির নৈতিকতা পুলিশ কর্তৃক বন্দি মাহসা আমিনির (২২) মৃত্যুর কারণে ইরানে অব্যাহত বিক্ষোভের মধ্যেই অগ্নিকাণ্ডটি সংঘটিত হয়।
ইরানের রাষ্ট্রচালিত সংবাদ সংস্থা আইআরএনএ একজন উর্ধ্বতন নিরাপত্তা কর্মকর্তার বরাত দিয়ে জানিয়েছে, একটি ওয়ার্ডের বন্দিরা কারাগারের কর্মীদের সাথে মারামারি করেছে। ওই কর্মকর্তা বলেন, কারাগারের ইউনিফর্ম ভর্তি একটি গুদামে বন্দিরা আগুন ধরিয়ে দেয়।
ইরানের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পোস্টগুলোতে আগুনের কারণ সম্পর্কে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম একাউন্টগুলোকে চ্যালেঞ্জ করেছে। এভিনের প্রাক্তন একজন বন্দি এবং অধিকার কর্মী অ্যাটেনা ডেমি রবিবার একটি টুইট বার্তায় বলেছেন, সাধারণত সমস্ত বন্দিদেরকে তাদের ওয়ার্ডে পাঠানো হয় এবং কর্মশালাগুলো সূর্যাস্তের পরে বন্ধ হয়ে যায়।