অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

হাইতির গ্যাংদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের অনুমোদন দিয়েছে জাতিসংঘ


হাইতির পোর্ট-অ-প্রিন্সে প্রেসিডেনশিয়াল প্যালেসের কাছে একটি সেনা ঘাঁটির বাইরে প্রধান রাস্তা এবং পৌরসভার বাজার বন্ধ করে গ্যাংরা তীব্র বন্দুকযুদ্ধ চালায়। সেখানে একজন সৈন্য তার অবস্থান নিয়েছে। ২৭ জুলাই, ২০২২। ফাইল ছবি।
হাইতির পোর্ট-অ-প্রিন্সে প্রেসিডেনশিয়াল প্যালেসের কাছে একটি সেনা ঘাঁটির বাইরে প্রধান রাস্তা এবং পৌরসভার বাজার বন্ধ করে গ্যাংরা তীব্র বন্দুকযুদ্ধ চালায়। সেখানে একজন সৈন্য তার অবস্থান নিয়েছে। ২৭ জুলাই, ২০২২। ফাইল ছবি।

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ সর্বসম্মতিক্রমে হাইতিতে যারা গ্যাং সহিংসতা বাড়ায় এবং ক্যারিবিয়ান দ্বীপরাষ্ট্রটির অর্থনৈতিক নিরাপত্তা এবং মানবিক পরিস্থিতির অবনতি ঘটায় তাদের লক্ষ্য করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। ৫ বছরের মধ্যে হাইতির ওপর জাতিসংঘের আরোপ করার এটি প্রথম নিষেধাজ্ঞা।

যুক্তরাষ্ট্র এবং মেক্সিকো প্রস্তাবটির খসড়া তৈরি করেছে। এর মাধ্যমে নব-প্রতিষ্ঠিত নিরাপত্তা পরিষদের নিষেধাজ্ঞা কমিটি দ্বারা মনোনীত ব্যক্তি বা সংস্থার ওপর ১ বছরের প্রাথমিক সময়ের জন্য ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা,সম্পদ জব্দ এবং অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।

এই প্রস্তাবের মাধ্যমে যারা সহিংসতা, অপহরণ, যৌন সহিংসতা, অস্ত্র বা মাদক বিক্রয়, মানব পাচার এবং শিশুশ্রমের সমর্থন বা অর্থায়ন করে তাদের লক্ষ্য করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।হাইতির সরকার এই পদক্ষেপগুলোকে সমর্থন করে।

জাতিসংঘ বলছে, রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের ৬০ শতাংশ ভারী অস্ত্রধারী অপরাধী চক্রের নিয়ন্ত্রণ বা প্রভাবে রয়েছে। দেশটির ১৫ লাখের বেশি মানুষ সরাসরি গ্যাং সহিংসতায় আক্রান্ত হয়ে এবং ২০ হাজার মানুষ নিরাপত্তার অভাবে তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছে।

অপরাধী চক্রগুলোর কার্যক্রম ইতোমধ্যে বিদ্যুতের প্রাপ্যতা,বিশুদ্ধ পানি, আবর্জনা ব্যাবস্থাপনা এবং হাসপাতালের পরিচালনা ক্ষমতা নিয়ে সমস্যায় থাকা ভয়ংকর মানবিক পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটিয়েছে।

নিষেধাজ্ঞা সবসময়ই কাউন্সিলের একটি আলোচ্য বিষয় । রাশিয়া এবং চীনের মতো কিছু সদস্য নীতিগতভাবে নিষেধাজ্ঞার বিরোধিতা করে থাকে। কিন্তু এই ঘটনায়, চীন নিষেধাজ্ঞার পক্ষে অবস্থান নিয়েছে এবং রাশিয়ার প্রাথমিক সংশয়গুলো সমাধান হওয়ার পরে তারাও নিষেধাজ্ঞায় সমর্থন জানায়।

হাইতির সরকারের অনুরোধে সাড়া দেয়ার জন্য জাতিসংঘের মহাসচিব গুতেরেসের একটি অনুরোধও কাউন্সিল বিবেচনা করছে। গ্যাং সহিংসতা মোকাবিলায় জাতিসংঘের বাইরে একটি বিশেষ আন্তর্জাতিক সশস্ত্র বাহিনীর কথাও বিবেচনা করছে তারা।

হাইতির রাষ্ট্রদূত বলেছেন, বাহিনীর কাজ হবে হাইতির জাতীয় পুলিশ বাহিনীকে সহায়তা করা এবং কাউন্সিলের উচিত এটিকে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা।

XS
SM
MD
LG