অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

বিশ্বকাপের আগে কাতারের রাজধানী থেকে হাজার হাজার শ্রমিক উচ্ছেদ


২০২২ সালের ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপের জন্য নির্মানাধীন লুসাইল স্টেডিয়াম-এর নির্মাণস্থলে শ্রমিকদের দেখা যাচ্ছে কাতার ,দোহা, ডিসেম্বর ২০, ২০১৯।ফাইল ছবি
২০২২ সালের ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপের জন্য নির্মানাধীন লুসাইল স্টেডিয়াম-এর নির্মাণস্থলে শ্রমিকদের দেখা যাচ্ছে কাতার ,দোহা, ডিসেম্বর ২০, ২০১৯।ফাইল ছবি

কাতারের রাজধানী দোহার কেন্দ্রস্থল,যেখানে বিশ্বকাপের সময় সফরকারী ফুটবল প্রেমীরা থাকবেন, সেই এলাকা থেকে হাজার হাজার বিদেশী শ্রমিককে উচ্ছেদ করে,অ্যাপার্টমেন্ট ব্লকগুলো খালি করেছে। উচ্ছেদ হওয়া শ্রমিকরা রয়টার্সকে একথা জানিয়েছেন।

তারা বলেন, কর্তৃপক্ষ এক ডজনেরও বেশি ভবন খালি করেছে এবং সেগুলো বন্ধ করে দিয়েছে। উচ্ছেদ করা শ্রমিকরা প্রধানত এশীয় ও আফ্রিকার মানুষ। উচ্ছেদের কারণে তারা যেখানে সেখানে থাকতে বাধ্য হচ্ছেন; এমনকি আগের বাসস্থানের বাইরে ফুটপাতে থাকতে হচ্ছে।

২০ শে নভেম্বর বিশ্বকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট শুরু হচ্ছে। এর চার সপ্তাহেরও কম সময় আগে এই পদক্ষেপ নেওয়া হলো। এই পদক্ষেপ বিদেশী কর্মীদের প্রতি কাতারের আচরণ এবং দেশটির কঠোর নিন্ত্রণমূলক সামাজিক আইনগুলো আন্তর্জাতিকভাবে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।

দোহার আল মানসৌরা এলাকার একটি ভবনে ১,২০০লোক বাস করে। ভবন ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য, কর্তৃপক্ষ বুধবার রাত ৮টায় বাসিন্দাদের মাত্র দুই ঘন্টা সময় দেয়।

ৎতারা জানান, রাত সাড়ে ১০টার দিকে পৌর কর্মকর্তারা ফিরে আসেন এবং সবাইকে জোর করে বের করে দিয়ে ভবনের দরজায় তালা লাগিয়ে দেন। কিছু লোক তাদের জিনিসপত্র নেওয়ার জন্য সময়মতো ফিরে আসতে পারেননি।

রয়টার্স-এর সঙ্গে যেসব শ্রমিক কথা বলেছেন তারা কর্তৃপক্ষ বা নিয়োগকর্তাদের প্রতিশোধের ভয়ে তাদের নাম বা ব্যক্তিগত বিবরণ দিতে অপরাগতা প্রকাশ করেন।

কাতারের একজন সরকারি কর্মকর্তা বলেন, এই উচ্ছেদ বিশ্বকাপের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়।

দোহার এলাকাগুলো পুনরায় সুসংগঠিত করার জন্য চলমান ব্যাপক ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এই উচ্ছেদ শুরু হয়েছে। এই কর্মকর্তা আরও বলেন, “সকলকে নিরাপদ ও যথাযথ বাসস্থানে নেওয়া হচ্ছে। আর যথাযথ নোটিশ দেওয়ার পর এই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়।”

অনুরোধ করা হলে, বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা এ বিষয়ে কোন মন্তব্যে করেনি । কাতারে বিশ্বকাপ আয়োজকরা দেশটির সরকারকে এ ঘটনা তদন্তের জন্য নির্দেশনা দিয়েছে।

৩০ লাখ জনসংখ্যার দেশকাতারে, প্রায় ৮৫ শতাংশই বিদেশি শ্রমিক। উচ্ছেদ

হওয়া শ্রমিকদের মধ্যে অনেকেই গাড়ি চালক, দিনমজুর হিসাবে কাজ করে। এদের কারও কারও চাকরিদাতার সঙ্গে চুক্তি আছে, তবে বাসস্থান নিজেদের জোগাড় করতে হয়। অন্যদিকে, প্রধান নির্মাণ সংস্থা গুলো তাদের হাজার হাজার শ্রমিকের অস্থায়ীভাবে তাবু বা ছাউনিতে থাকার ব্যবস্থা করে।


XS
SM
MD
LG