বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন (বিএইচআরসি) বিভিন্ন জেলা, উপজেলা ও পৌরসভার শাখা থেকে প্রাপ্ত তথ্য এবং বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে, সংস্থার ডকুমেন্টেশন বিভাগ এবং ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস কমিশন প্রতিবেদনটি সম্পন্ন করেছে।
বিএইচআরসি’র জরিপ অনুযায়ী অক্টোবরে মোট ২২২ জন মানুষ হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। এছাড়া ,সরকারি হিসাব অনুযায়ী করোনাভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে আরও ৬১ জনের। চলতি বছরের অক্টোবর মাসে, করোনা ভাইরাসে প্রতিদিন গড়ে প্রায় দুইজনের মৃত্যু এবং হত্যাকাণ্ড ঘটেছে প্রায় ৭টি করে।
হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও সরকারের সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভাগের কর্মকর্তাদের অধিক দায়িত্ববান হওয়ার বিষয়টির ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয় প্রতিবেদনে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার গতিশীল কার্যক্রমের মাধ্যমে হত্যাকাণ্ড কমিয়ে শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা সম্ভব বলেও উল্লেখ করেছে বিএইচআরসি।
বাংলাদেশের গণতন্ত্র ব্যবস্থাপনাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপদান এবং মানবাধিকার সম্মত সমাজ প্রতিষ্ঠায়, সর্বস্তরে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তার কথাও উঠে আসে প্রতিবেদনে।
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের ডকুমেন্টেশন বিভাগের জরিপে দেখা যায়, গত অক্টোবরে হত্যাকাণ্ডের শিকারদের মধ্যে; পারিবারিক সহিংসতায় ১৬ জন, সামাজিক সহিংসতায় পাঁচজন, রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডে পাঁচজন, চিকিৎসা অবহেলায় পাঁচজন, অপহরণের শিকার হয়ে মৃত্যু তিনজনের, গুপ্ত হত্যার শিকার হয়েছেন ৩১ জন এবং রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে ৩২ জনের। আর, ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে আরও ছয়জনকে।
এছাড়া বিভিন্ন দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১০৩ জন এবং আত্মহত্যা করেছেন ১৬ জন মানুষ।