অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

বাংলাদেশে প্রতি বছর ১৩ হাজার নারী স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হন—স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক


স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক

বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন, বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় ১৩ হাজার নারী স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হন। এর মধ্যে প্রায় ৭ হাজার মৃত্যুবরণ করেন।

তিনি বলেন, ‘জরায়ু মুখ ক্যানসারে প্রায় ৮ হাজার নারী আক্রান্ত হন। এর মধ্যে প্রায় ৫ হাজার মারা যান। এ ছাড়াও শনাক্তের বাইরে থাকেন অসংখ্য নারী। আমাদের দেশে ক্যানসারে ১ লাখের বেশি লোকের মৃত্যু হয়। প্রতি বছর দেড় লাখ লোক নতুন করে ক্যানসারে আক্রান্ত হন’।

বুধবার (২ নভেম্বর) ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে জরায়ু-মুখ ও স্তন ক্যানসার স্টানিং এবং প্রতিরোধ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

জাহিদ মালেক বলেন, ‘বাংলাদেশে ১৫ থেকে ১৮ লাখ ক্যানসার রোগী রয়েছে। গত তিন বছরে করোনায় যে পরিমাণ মৃত্যু হয়নি, এক বছরে ক্যানসারে তার থেকে তিনগুণ বেশি মৃত্যু হয়েছে। সুতরাং ক্যান্সারের বিষয়ে আমাদেরকে মনোযোগী হতে হবে’।

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ সকলে ক্যানসারের স্ক্রিনিংয়োর বিষয়ে বেশি জোর দিয়েছি। স্ক্রিনিংয়ের জন্য ৫৭০টি সেন্টার করা হয়েছে। যার মাধ্যমে প্রাথমিক স্ক্রিনিং করা হয়। স্ক্রিনিংয়ের মাধ্যমে পজিটিভ রোগীদের জন্য ৪৩টি কলোসকপি সেন্টার করা হয়েছে। আমাদের পরিকল্পনা ও নির্দেশনা রয়েছে ৫০০টি উপজেলায় ইলেকট্রনিক ডাটা ট্র্যাকিং সেন্টার করার। কমিউনিটি ক্লিনিকে প্রাথমিক স্ক্রিনিং করা যায় সেই নির্দেশনা আমরা দিয়েছি’।

জাহিদ মালেক বলেন, ‘স্ক্রিনিংয়ের পরের ধাপ হলো চিকিৎসা। বাংলাদেশে এখনো ক্যানসারের চিকিৎসা ব্যবস্থা সেভাবে উন্নত হয়নি। যার ফলে অনেকে দেশের বাহিরে চিকিৎসা গ্রহণ করতে যান। আমরা উদ্যোগ গ্রহণ করেছি ৮টি বিভাগীয় হাসপাতালে আটটি ক্যানসার সেন্টার করার। ক্যানসার প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত করতে পারলে, এই রোগ থেকে শতভাগ সুস্থ হয়ে ওঠার চিকিৎসা রয়েছে। আটটি বিভাগীয় ক্যানসার সেন্টারে আমরা সেই চিকিৎসা ব্যবস্থা দেওয়ার চেষ্টা করছি’।

তিনি বলেন, ‘আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি প্রতিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং পর্যায়ক্রমে প্রতিটি জেলায় মেমোগ্রাফির মেশিন প্রদান করব। সেখানে স্ক্রিনিংয়ের ব্যবস্থা আরও ভালো হবে। মেডিকেল কলেজেও ক্যানসারের উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করব’।

তিনি বলেন, ‘মানুষের অনিয়ন্ত্রিত জীবন ব্যবস্থার কারণে দুরারোগ্য ব্যধিগুলো বাড়ছে। ক্যানসারের বিষয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি প্রয়োজন’।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্টি বোর্ডের সভাপতি অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী, নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অতিরিক্ত সচিব রাশেদা আকতার, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ কে এম আমিরুল মোরশেদ প্রমুখ।

XS
SM
MD
LG