মঙ্গলবার কয়েক শো ইরানি দেশটির রাজধানী তেহরানে সমাবেশ করেছে। তারা “ভয় পেও না, আমরা সবাই একসাথে আছি” বলে স্লোগান দেয়। শিক্ষার্থীরা প্রধান বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থান নেয়।
সেপ্টেম্বরে দেশটির নৈতিকতা পুলিশের হেফাজতে ২২ বছর বয়সী মাহসা আমিনির মৃত্যুর পর ইরানে বিক্ষোভ শুরু হয়। বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রতিদিনের এই বিক্ষোভ ইসলামি প্রজাতন্ত্রের ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুতর চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
কুর্দি এই নারীকে হিজাব “ভুলভাবে” পরার অভিযোগে তেহরানে আটক করা হয়েছিল। ৩ দিন পরে পুলিশ হেফাজতে থাকাকালীন তিনি মারা যান। পুলিশ জানায়, আমিনির হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল। তার পরিবার বলছে, তার হৃদরোগের কোনো ইতিহাস ছিল না।
অধিকার গোষ্ঠীগুলো বলছে, বিক্ষোভ চলাকালীন ২শ জনেরও বেশি মানুষ মারা গেছে এবং হাজার হাজার না হলেও কয়েক শো মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ইরানের জাতীয় দলের প্রাক্তন ফুটবলার মেহেদি মাহদাভি কিয়া পরিবারগুলোর প্রতি সমবেদনা জানিয়ে বলেছেন, গত সপ্তাহগুলোতে “তাদের প্রিয়জনের রক্ত অন্যায়ভাবে বয়ে গেছে।”