বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, “দেশের স্বার্থ রক্ষা করেই আইএমএফ-এর ঋণ নেওয়া হবে। আমাদের নিরাপদ রিজার্ভ গড়ে তোলার জন্য এ ঋণ দরকার। প্রয়োজনীয় শর্ত অর্থ মন্ত্রণালয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে।”
শনিবার (৫ নভেম্বর) সকালে রংপুরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন। তিনি বলেন, “আইএমএফ-এর ঋণ নিলে দেশের রিজার্ভে কোন প্রভাব পড়বে না। সব দিক বিবেচনা করে আইএমএফ-এর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনাও রয়েছে।”
টিপু মুনশি বলেন, “আইএমএফ টাকা না দিলে আমরা রসাতলে যাবো, তা নয়। যদি প্রয়োজন পড়ে, সেজন্য একটা সিকিউরিটি নিয়ে রাখা হচ্ছে। আমাদের নিরাপদ রিজার্ভ গড়ে তোলার জন্য এ ঋণ দরকার। আশা করি বিশ্বব্যাংক আমাদের সহায়তা করবে।”
তিনি বলেন, “বিশ্বের পোশাক মার্কেটে এ মুহূর্তে খানিকটা মন্দা চলছে।গত দু-তিন মাস আগে এই খাত চড়া ছিল। করোনার প্রভাব, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ; এগুলোর জন্য মানুষ অর্থনৈতিকভাবে খুব চাপে পড়েছে।”
টিপু মুনশি বলেন, “আমাদের দেশে যে পোশাক উৎপাদন করি, সেটা হলো সাধারণ মানুষের জন্য। এ ধরনের পোশাক বিক্রির পরিমাণে তেমন কোন ক্ষতি হয় না। সামান্য পরিবর্তন হতে পারে। আশা করি জানুয়ারির পর থেকে ধীরগতি ওকওট যাবে।”
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বিষয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, “বিশ্ব বাজারে একটু দাম বেড়ে গেলে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট তৈরি করে বাজারকে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টা করে। সে জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়সহ সরকারের অন্য দপ্তরগুলো সজাগ রয়েছে এবং কাজ করে যাচ্ছে।”