পাকিস্তানের জনপ্রিয় বিরোধী দলীয় নেতা ইমরান খান, প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভির কাছে একটি চিঠি লিখেছেন, যাতে তিনি অভিযোগ করেছেন, দেশটির গুপ্তচর বিভাগের প্রধান সহ শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের দ্বারা রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ একটি "গুরুতর অন্যায়।"
৭০ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী,গত বৃহস্পতিবার পাঞ্জাব প্রদেশে তার
পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টির (পিটিআই) জন্য নতুন নির্বাচনের দাবিতে একটি সমাবেশের
নেতৃত্ব দেওয়ার সময় আপাতদৃষ্টিতে একটি হত্যা চেষ্টা থেকে বেঁচে যান। তার ডান পায়ে গুলি লেগেছে এবং প্রাদেশিক রাজধানী লাহোরের বাড়িতে তিনি সুস্থ হয়ে উঠছেন।
সোমবার, পিটিআই, আলভিকে লেখা খানের চিঠির একটি অনুলিপি প্রকাশ করেছে, যেখানে বিরোধী দলীয় নেতা তার অভিযোগের পুনরাবৃত্তি করে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স (আইএসআই) এর একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এই
হামলার পরিকল্পনা করেছেন।
সরকার ও সামরিক বাহিনী এসব অভিযোগকে" ভিত্তিহীন ও দায়িত্বজ্ঞানহীন
“এবং “একেবারেই অগ্রহণযোগ্য ও অনাকাঙ্ক্ষিত" বলে প্রত্যাখ্যান করেছে।
চিঠিতে ইমরান খান, আইএসআই প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল নাদিম
আঞ্জুম এবং সেনাবাহিনীর মিডিয়া উইং ইন্টার-সার্ভিসেস পাবলিক রিলেশনস (আইএসপিআর)- এর প্রধান লেফটেন্যান্ট
জেনারেল বাবর ইফতিখারকে গত মাসের শেষের দিকে তার বিরুদ্ধে জাতীয়ভাবে
সম্প্রচারিত এক সংবাদ সম্মেলনে ভাষণ দেওয়ার জন্য তিরস্কার করেন।
তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন , "এ সংক্রান্ত দুটি প্রশ্ন খতিয়ে দেখা উচিত: পাকিস্তানের প্রধান গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান কীভাবে একটি পাবলিক প্রেস কনফারেন্স করতে পারেন? কিভাবে দুই সামরিক আমলা বৃহত্তম ফেডারেল রাজনৈতিক দলের নেতাকে লক্ষ্য করে একটি অত্যন্ত রাজনৈতিক সংবাদ সম্মেলন করতে পারেন? "
প্রেসিডেন্টের দপ্তর বা সামরিক বাহিনী কেউই এই চিঠির জবাব দেয়নি।
একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা ফোনে ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেন, খানের
চিঠিটি "রাজনৈতিক সুবিধা অর্জনের জন্য তথ্য এবং পরিসংখ্যানকে বিকৃত
করা" ছাড়া আর কিছুই নয়।
গত এপ্রিলে পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে ইমরান খানকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল।