মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচনের দিন, লক্ষ লক্ষ আমেরিকান কংগ্রেশনাল নির্বাচনে ভোট প্রদান করে, যার ফলাফল ভবিষ্যতে কংগ্রেসের অবস্থান এবং প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের চার বছরের মেয়াদের দ্বিতীয়ার্ধের সুর নির্ধারণ করবে।
হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভের ৪৩৫ টি আসনের সবকটিই ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। সিনেটের ১০০ টি আসনের মধ্যে ৩৫ টি আসনও রয়েছে। ৪ কোটি ২০ লাখেরও বেশি মানুষ ইতিমধ্যে আগাম ব্যক্তিগত বা মেইল-ইন ভোটিং-এ ভোট দিয়েছেন।
ডেমোক্রেটরা এখন ক্ষীনভাবে উভয় চেম্বারের নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখেছে। তবে প্রাক-নির্বাচনী ভোটগুলিতে দেখা যায়, রিপাবলিকানরা হাউস এবং সম্ভবত সিনেটের দখল নিতে পারে। এরকম ফলাফল অতীতে দীর্ঘস্থায়ী রাজনৈতিক অচলাবস্থা তৈরি করেছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের একটি জনপ্রিয় অনলাইন ভোট সংক্রান্ত সাইট রিপাবলিকানদের সিনেটে ৫৫% জয়ের সম্ভাবনা আর হাউসে ডেমোক্রেটিকদের অতিক্রম করার ৮৩% সম্ভাবনা দেখাচ্ছে।
সম্প্রতি পিউ রিসার্চ সেন্টারের এক জরিপে দেখা গেছে, জরিপে অংশ নেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের তিন-চতুর্থাংশেরও বেশি ভোটার বলেছেন, এই নির্বাচনে অর্থনীতিই তাদের প্রধান উদ্বেগের বিষয়।
কিছু ভোটার ভিওএ-কে বলেছেন, ভোটপ্রদানের সময় সুদের হার, আবাসন, গ্যাসের দাম বা নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের ব্যয় সহ স্বাস্থ্যসেবার মতো বিষয়গুলোও বিবেচনায় রাখছেন তারা।
বাইডেন এবং ট্রাম্প উভয়ই সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলিতে যথাক্রমে ডেমোক্রেটিক এবং রিপাবলিকান প্রার্থীদের পক্ষে প্রচার করেছেন। ট্রাম্প, ২০২০ সালে পদ থেকে অপসারিত হয়েছিলেন। এখনো তিনি মিথ্যা অভিযোগ করেন যে ভোট গণনার অনিয়ম আর প্রতারণার কারণে তিনি পুনর্নির্বাচিত হতে পারেননি।
বাইডেন মঙ্গলবারের নির্বাচনকে যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্রের একটি "প্রতিফলন বিন্দু" হিসাবে অভিহিত করছেন।
(ক্যাথারিন জিপসন এই প্রতিবেদনটি তৈরি করেছেন)