অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্ল্যান্ট প্রকল্পে বিলম্ব হয়েছে—বিজ্ঞানমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান


রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্ল্যান্ট
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্ল্যান্ট

বাংলাদেশ সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান বলেছেন, ‘সরকার নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের নির্মাণকাজ শেষ করার চেষ্টা করছে’।

বুধবার (৯ নভেম্বর) রাজধানী ঢাকার বিদ্যুৎ ভবনে বিদ্যুৎ বিভাগের সঙ্গে তার মন্ত্রণালয়ের যৌথ বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি বলেন, ‘রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং পরবর্তীতে ডলার সংকটের কারণে প্রকল্পের কাজ কিছুটা বিলম্বিত হয়েছে’।

বৈঠকে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদও উপস্থিত ছিলেন।

পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিড লাইনে যুক্ত করতে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন নির্মাণের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনার জন্যই মূলত এই বৈঠক ডাকা হয়।

২০১০ সালে হাতে নেওয়া ২ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট রূপপুর এনপিপি প্রকল্পের দুটি ইউনিট রয়েছে। যার প্রতিটি ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন।

সরকার ২০২২ সালে প্রথম ইউনিট এবং ২০২৩ সালে দ্বিতীয় ইউনিটের নির্মাণ শেষ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিল।

কিন্তু পরবর্তীতে প্রথম ইউনিটের জন্য ২০২৪ সালের জুন এবং ২০২৫ সালের জুনের মধ্যে দ্বিতীয় ইউনিটের জন্য লক্ষ্য পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছিল।

কিন্তু প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা মনে করছেন, প্রকল্পটির নতুন সময় সীমা পুনর্নির্ধারণ করতে হতে পারে।

প্রকল্পটি আবার বিলম্বিত হলে কত সময় লাগবে তা স্পষ্ট করেননি মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান।

‘আমরা সময়সীমার কাছাকাছি সময়ের মধ্যে কাজটি শেষ করার চেষ্টা করছি’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘প্রকল্পটি সম্পূর্ণ করতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং বিদ্যুৎ বিভাগ উভয়ই সমন্বিতভাবে কাজ করবে’।

বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন প্রকল্প সম্পর্কে নসরুল হামিদ বলেন, ‘কোভিড-১৯ মহামারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণেও প্রকল্পটি বিলম্বিত হয়েছিল’।

তিনি বলেন, ‘এখন প্রকল্প বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। সঞ্চালন লাইনের পদ্মা নদী ক্রসিং প্রকল্পের একটি বড় কাজ। যা শেষ হতে আরও দেড় বছর সময় লাগতে পারে। আমরা আশা করি বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার আগেই আমরা সঞ্চালন লাইনের কাজ শেষ করতে পারব’।

XS
SM
MD
LG